বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) প্রথম নারী ক্যামেরাপারসন রোজিনা আক্তার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার ভোরে (২৪ এপ্রিল) রক্তচাপজনিত জটিলতায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। রোজিনা আক্তার বিটিভির প্রথম নারী ক্যামেরাপারসনের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রথম পেশাদার নারী ক্যামেরাপারসনও ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির লাইভ প্রোগ্রামে কাজ করতেন বেশি সময়। কাজ করেছেন জাতীয় সংসদে অধিবেশনেও।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এসএম হারুন-অর-রশীদ বলেন, প্রেশার ফল করলে ভোরে রোজিনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান। সপ্তাহ দুয়েক আগে রোজিনা আক্তার সিজারে মৃত সন্তান প্রসব করেছিলেন। সন্তানের শোকে তিনি শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিটিভির প্রথম নারী ক্যামেরাপারসন রোজিনা আক্তারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিমও রোজিনা আক্তারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ইহসানুল করিম শোকবার্তায় বলেন, রোজিনা আক্তার ছিলেন একজন দায়িত্ববান, বিনয়ী ও পরিশ্রমী চিত্রগ্রাহক।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি ও চিফ হুইপ নূর-ই- আলম চৌধুরী এমপি তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মো: মুরাদ হাসান ও সচিব কামরুন নাহারও পৃথক শোক বার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তিকামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নারীর জন্য চিত্র সাংবাদিকতা কিছুটা কঠিন। মাঠে-ময়দানে ঝুঁকি নিয়ে চিত্র সাংবাদিকতা করে রোজিনা আক্তার সাহসের যেমন পরিচয় দিয়েছেন, তেমনি অন্যদের জন্যও পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন।