কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় কয়েকলক্ষ টাকা মুল্যের ১০০০ মিটার চোরাই জাল উদ্ধার করেছে জেলে সংগঠন আশার আলো জেলে সমবায় সমিতির সদস্যরা। চুরি হওয়া জেলেদের অভিযোগের ভিত্তিতে পশ্চিম কুয়াকাটার মাঝি বাড়ি সংলগ্ন সমুদ্র থেকে জেলে ইউনুচ খাঁনের গাঁতা থেকে বুধবার সন্ধার দিকে এ জাল উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কৃত চোরাই জাল আশার আলো সমিতির সভাপতি নিজাম শেখের তত্বাবধানে রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের মহামারিতেও থেমে নেই সমুদ্রে জেলেদের জাল চুরি। এঘটনায় সমুদ্রের জেলেদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জেলেদের সুত্রে জানা যায়, গত ২/৩দিন পুর্বে জেলে বেল্লাল মাঝি,হারুন মাঝি,খলিল গাজী ও মজিদ পহলানের ২৬ পিচ জাল সমুদ্র থেকে চুরি হয়ে যায়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অন্য জেলেদের মাধ্যমে তারা জানতে পারে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৈয়বুর রহমানের ছোট ভাই ইউনুচ খাঁন ঐ চার জেলের জাল চুরি করে নিয়ে চোরাই জাল দিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরছে। বুধবার বিকেলে অন্যান্য জেলেদের সহযোগিতায় জেলে সংগঠন আশার আলো সমিতির সদস্যরা ইউনুচ খাঁন সমুদ্রে পেতে রাখা গাঁতা থেকে ১৯পিচ জাল উদ্ধার করে সন্ধা রাতে কুয়াকাটা সৈকতে নিয়ে আসে। যার মুল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা।
জেলে বেল্লাল মাঝি,হারুন মাঝি,খলিল গাজী ও মজিদ পহলান বলেন, করোনা ভাইরাসের সংকটের মধ্যে তাদের জাল সহ আরো একাধিক জাল চুরি হয়ে গেছে। তারা জানান, ইউনুচ খাঁন এর আগেও সমুদ্র থেকে অনেক জেলের জাল চুরি করে নিয়ে যায়। প্রভাবশালী হওয়ায় এ চুরির সঠিক বিচার হয়নি।
আশার আলো জেলে সমবায় সমিতির সভাপতি নিজাম শেখ জানান, ভূক্তভোগী জেলেদের অভিযোগের ভিত্তিতে অন্যান্য জেলেদের সহযোগিতায় ইউনুচ খাঁনের গাঁতা থেকে চোরাই ১৯পিচ জাল উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ৭পিচ জালের কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর তৈয়বুর রহমান জানান, চোর যেই হোক তার কঠোর বিচার করা হবে। সমুদ্র আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত সাগরে আর কখনো মাছ শিকার করতে পারবেনা। তিনি বলেন, আশার আলোর সমিতির সভাপতিকে তিনি বলেছেন জেলেদের সমন্নয়ে চোরের বিচার করার জন্য। জাল চুরির বিষয়টি পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লাকে জানানো হয়েছে। মেয়র এই জাল চোরের কঠিন বিচার করবেন বলে জেলেদের আশ্বস্ত করেছেন।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লা বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের মধ্যে জেলেদের জাল চুরির বিষয় ভূক্তভোগি জেলেরা তাকে জানিয়েছে। চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত ইউনুচ খাঁনের কঠিন বিচার করা হবে। কেউ যেন আর সাগরে জাল চুরি করতে সাহস না পায়।
রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি