গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক ইউপি সদস্যকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অর্ধ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। হত দরিদ্রদের জন্য ১০টাকা কেজি দরের চাউল কারসাজির মাধ্যমে নিজের জিম্মায় রেখে কার্ডধারীর বাইরে অন্যের কাছে বিক্রি করায় বুধবার কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোসা. ইসমত আরা এ দন্ড প্রদান করেন।

দন্ডপ্রাপ্তের নাম বিলকিস বেগম (৪২)। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য। তার বাড়ি ধলিসূতা এলাকায়।

কাপাসিয়া থানার এসআই আব্দুল মোমেন জানান, সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় চলমান করোনা পরিস্থিতিতে হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট উপকারভোগীদের কাছে (কার্ডধারী) ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি পর্যন্ত চাউল বিক্রির কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। ওই ইউপি সদস্য নির্দিষ্ট কার্ডধারীদের নামে দেখিয়ে কারসাজির মাধ্যমে অধিক মূল্যে অন্যত্র বিক্রি করে আত্মসাৎ করছে। এ গোপন সংবাদ পেয়ে বুধবার দুপুরে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোসা. ইসমত আরা নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালায়।

কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোসা. ইসমত আরা মোসা. ইসমত আরা জানান, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের ওই চাউল শুধুমাত্র কার্ডধারী হতদরিদ্ররাই ৩০ কেজি পর্যন্ত ক্রয় করতে পারেন। কিন্তু চাঁদপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নংওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের ওই সদস্য বিলকিস বেগম নির্দিষ্ট উপকারভোগীদের কাছ থেকে কার্ড নিয়ে নিজে ডিলারের কাছ থেকে চাউল তুলে নিজ জিম্মায় রেখে অধিক মূল্যে কার্ডধারীর বাইরে অন্যত্র বিক্রি করছিলেন যার প্রমান পাওয়া গেছে। এসময় অবৈধভাবে বিক্রি করা ৬বস্তা চাউল জব্দ করা হয়। এছাড়াও আদালতের কাছে তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন। আদালত বিলকিস বেগমকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। জরিমানার অর্থ আদায় শেষে দন্ডিত বিলকিস বেগমকে পুলিশের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে।