করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পুলিশ ব্যস্ত থাকার সুযোগে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাদক কিনতে এসে জনতার হাতে ধরা খেয়েছেন অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও হেলপার। এ সময় মুল মাদক ব্যবসায়ীরা অ্যাম্বুলেন্সে পালিয়ে যায়।
রবিবার (১২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের লতাবর (কাউয়ার বাজার) এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এসম তাদের কাছ থেকে ৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- অ্যাম্বুলেন্সের চালক রংপুর কোতোয়ালি থানার ধাপ হাজীপাড়া গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান পাভেল (২৫) ও চালকের সহকারী রংপুর হাজীরহাট থানার উত্তম মৌলভী পাড়া গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে মুন্না (২৩)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সরকারি ছুটি ও সারা দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যস্ত সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাদক কারবারিরা অ্যাম্বুলেন্সে (নওগাঁ-ছ ১১-০০০৯) করে উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের লতাবরের কাউয়ার বাজার এলাকার গ্রামের ভিতরের একটি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। পরে করোনা রোগী ভেবে এলাকাবাসী অ্যাম্বুলেন্সটির সামনে গিয়ে থামায় এ সময় ভিতরে থাকা কয়েকজন পালিয়ে গেলেও অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও হেলপারকে আটক করে স্থানীয় জনতা। রাত ৯টার দিকে কালীগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সে তল্লাশি করলে ৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। পরে তাদের তথ্য মতে মাদক সম্রাট বেরেশন চন্দ্রের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রান্না ঘরের চুলায় প্রায় ৫০টি খালি ফেনসিডিলের বোতল উদ্ধার করে । এ সময় পুলিশ আসার খবর আগেই পেয়ে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মোঃ সাজ্জাত জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তাদের আটক করে মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।