নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তে এক ব্যক্তিকে আসোলেশনে নেয়া হয়েছে।সেই সাথে ২০টি পরিবার লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের খালিশাবকশি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা উক্ত ব্যক্তির বয়স ৩৮ বৎসর। আজ বৃহস্পতিবার(৯ এপ্রিল)সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তির করোনা পজেটিভের রির্পোট হাতে পায় স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত দুইজন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে।
জানা গেছে, ওই ব্যক্তি সৈয়দপুর উপজেলার উক্ত গ্রামের বাসিন্দা হলেও তিনি নারায়নগঞ্জের একটি খাদ্য উৎপাদিত কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। গত ৫ এপ্রিল তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরে এসে জ্বরে আক্রান্ত হন। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষাগারে প্রেরন করেছিল।বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, বৃহস্পতিবার(৯এপ্রিল) সন্ধ্যায় উক্ত ব্যক্তির রির্পোট পজেটিভ আসে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলে স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন তাকে সৈয়দপুর ২৫০ শষ্যা হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করে।
খাতামধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুয়েল চৌধুরী জানান, ওই যুবক নারায়নগঞ্জ থেকে জ্বর নিয়ে বাড়িতে আসে। এরপর গ্রামবাসী বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে জানালে তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। পরে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ গত ৭ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। আজ বৃহস্পতিবার নমুনা পরিক্ষায় তার শরীরে কোভিড-১৯ এর সংক্রমন পাওয়া গেছে।সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ওই যুবকের বাড়ি সহ ২০টি পরিবার লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা শনাক্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি সহ এলাকার অন্যান্য লোকজনদের শনাক্তের কাজ চলছে।
এর আগে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসকের করোনা পজেটিভ হওয়ায় ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি লগডাউন ঘোষনা করা হয়। গত মঙ্গলবার(৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লগডাউন ঘোষনা করা হয়। গত বুধবার(৮ এপ্রিল) রাতে ওই চিকিৎসককে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে রাজধানীর উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে।
সুজন মহিনুল,বিশেষ প্রতিনিধি।