করোনা আক্রান্ত সন্দেহে পাবনার ঈশ্বরদীর নারিচা এলাকায় রাশিয়ানদের ভাড়াকৃত ‘হাউস-২’ লকডাউন করা হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত করোনা সন্দেহভাজন বেলারুশিয় নাগরিককে (পাসপোর্ট নং কেবি ১৪০৩২৪৪) বুধবার রাত ১০টার পর ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই বাড়িতে প্রকল্পে কর্মরত ১৫/১৬ জন বিদেশী নাগরিক বসবাস করছে বলে জানা গেছে। বাড়িটির গেট তালাবদ্ধ করে রাতেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার লকডাউনের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
ঈশ্বরদী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ড: শফিকুল ইসলাম শামীম জানান, রূপপুর প্রকল্পের রাশিয়ান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘অর্গানস্ত্রয়’-এ কর্মরত বেলারুশিয়ান নাগরিক চুপ্রিম ভিচেশ্লাভ (৩৭) করোনা পরীক্ষার জন্য বুধবার রাতে ঢাকায় গিয়েছেন। তাঁর গলা ব্যথা, কাশি ও কিছু সিনড্রম ছিল। ওই প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ডা: সের্গেই মারজভসও রোগীর সাথে কথা বলেছেন। আগে তাঁর গলায একটি অপারেশন হযেছিল। একারনেও গলা ব্যাথা হতে পারে ডা: সের্গেই মারজভস ধারণা করছেন। ঈশ্বরদীতে করোনা পরীক্ষার কোন কিট না থাকায় বাইরে না বের হয়ে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।
এব্যাপারে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর জানান, এই বিদেশীর বিষয়ে ঢাকায় আইইডিসিআর-এ কথা বলা হযেছিল। স্যাম্পুল ঈশ্বরদী এসে সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার কথা। কিন্তু সেই সময় না দিয়ে রাতেই এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে চুপ্রিম ভিচেশ্লাভ করোনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় গিয়েছেন। যেকারণে রাতেই ওই বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বেলারুশিয় এই নাগরিক সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ঈশ্বরদীতে আসেন। দেশে যাওয়ার জন্য তিনি কয়েকদিন আগে ঢাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু বিমান যোগাযোগ বন্ধ হওয়ায় তিনি কয়েকদিন ঢাকায় থেকে ফিরে আসেন। গলা ব্যাথা ও কাশি ছাড়াও আরো কোন উপসর্গ ছিল কিনা জানা সম্ভব হয়নি। চুপ্রিম ভিচেশ্লাভ ফোনে চিকিৎসকদের বারবার তাকে সরেজমিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বললেও পিপিই না থাকায় চিকিৎসকরা কাছে যেতে পারেননি। এসব কারণে স্থানীয়ভাবে সুচিকিৎসা না পাওয়ার আশংকায় দেরী না করে চুপ্রিম রাতই ঢাকায় রওনা হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হান নারিচার এলাকার ওই বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, ওই বাড়িতে বসবাসরত অন্যান্য বিদেশীদেরও রূপপুর প্রকল্পে কাজে যেতে নিষেধ এবং প্রকল্পে প্রবেশের সিকিউরিটি পাশ ব্লক করা হয়েছে। #
কামাল সিদ্দিকী,পাবনা।