অত্যন্ত দুঃখজনক হল ও সত্যি। সরকার ঘোষণা মোতাবেক এই মাসে কাউকে জব লেস ও কেউ যদি ইস্থফা দেন তাদেরকে ব্যাংক পুরো মাসের বেতন দিতে হবে এটা মানবিকতা। গত কয়েক দিন ও আজকে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বেশ কয়েকজন জানালেন সর্দি কাঁশি ও শারীরিক সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক শাখা ও ডিভিশন এ অসুস্থ নিয়ে অফিস করছেন অনেকে ছুটি চেয়ে ও পাচ্ছেন না আবার অনেকে জব চলে যাবে এই জন্য ছুটিও চাচ্ছেন না উল্টো টাগেট পূর্ণ না করলে বেতন না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কিছু ব্যাংকের বিরুদ্ধে । বাৎসরিক বাধ্যতামূলক বাংলাদেশ ব্যাংক (এলএফএ) যে ১৫ দিনের ছুটি( যারা পাপ্য) অনেক ব্যাংক তা মানেন না পাচ্ছেন না । কিন্তু কাগজ কলমে রিপোর্ট করে যাচ্ছেন কিন্তু এই ছুটি টা একটা ব্যাংক এর জন্য কত যে অতীবগুরুত্বপূর্ণ। ছুটিতে থাকার ফলে ঐ ব্যাংকার এর ডেক্স (. যে পজিশন এ হোক এমডি থেকে এন্ট্রি লেবেল) কোন অনিয়ম করলে ধরা পড়বে আবার অন্য ব্যাংকার তার কাজ ও কাজের ধারা উন্নতি করতে পারেন।” যাদের কারণে যদি কোন ব্যাংকার করোনা ভাইরাস পজিটিভ হয় আর মৃত্যু বরণ করেন সরকার না ঐ ব্যাংক কে অবশ্য সব ধরনের তার পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে এবং দেশের শ্রম আইনী সর্বনিম্ন 20 কোটি(” পরিবার অবস্থান দেখে আরো সিদ্ধান্ত নিতে হবে)। ব্যাংক আগে নিজেই ব্যাংকিং নিয়ম মেনে জব করুন তাহলে আপনি যেমন সুরক্ষা বিপদ মুক্ত থাকবেন তেমনি ব্যাংক ও অনিয়ম দূর্নীতি থেকে রক্ষা পাবে ফলে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
বর্তমানে কিছু কিছু ব্যাংক এমন কিছু উচ্চ পর্যায়ের ও ম্যানেজমেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক আছেন এসব ছুটি ও দক্ষতার এবং ব্যাংকার যোগ্যতার প্রশংসা না করে তাদের পেছনে লেগে থাকেন যারা বর্তমান অনেক ব্যাংকে কিছু নামধারী ব্যাংকার আছেন নিজেদের চেয়ার এর দাপট দেখাচ্ছেন তারা অবশ্যই অযোগ্য তৈলবাজী আর নিকৃষ্ট পরিবারের থেকে উঠে আসা যারা প্রতিষ্ঠান থেকে নিজকে বউ বানাতে ব্যস্ত। আর কিছু টিভি ও নিউজ পেপার আছেন তারা তাদের সব গোপন অনিয়ম দূর্নীতি পাচার টাকা ধামাচাপা দিয়ে যাচ্ছেন। এ গুলো কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা ইতিমধ্যেই কাজ করছেন। ইনশাআল্লাহ এদের বিরুদ্ধে এসব সাংঘাতিক এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
সরি অনেকে মধ্যে দেখানো নামাজ পড়েন আবার মিথ্যা গীবত অপপ্রচার প্রতিষ্ঠান এর ক্ষতি অন্যকে বিপদে ফেলে নিজকে একনিষ্ঠ জায়গায় নিজকে নিষ্টাবান পরিচিত করেন কিন্তু বাস্তবে সে ব্যাংকের উন্নতি এর জন্য তেমন ভুমিকা না থাকলে ও যত অনিয়ম দূর্নীতি আছে সব করেন তাদের নামাজ আল্লাহ্ ভাল জানেন কি পুরষ্কার দিবেন তবে দুনিয়াতে তাদের শেষ কি হয় তা ব্যাংকার এরা অবগত।
দেশে বর্তমানে সময়ে একটা ব্যাংক গতিশীল ও বিশ্ব মানের ব্যাংক হিসেবে গড়ে তোলার মত হাতে গোনা কয়েকটা ব্যাংক চেয়ারম্যান ও এমডি ম্যানেজমেন্ট আছেন। এটা আমার কথা না এটা আইসিসি ও আইএম এফ ব্যাংকিং গবেষণা ম্যাগাজিনের রিপোর্ট। রিপোর্ট এমন ও বলা হয়েছে বাংলাদেশের অনেক ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ পদে নন-ব্যাংকার জব করেন। কেউ হয়ত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত, “সাবেক আমলা,” সাবেক নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান এর এইচ আর অথবা অন্য পদে তারা ও অনেক বড় পদে আছেন। এতে করে আগামী ৩/৪ বছর পর দেশে ২৫/৩০ বছরের দক্ষ ব্যাংকার ও ডিজিটাল ব্যাংকিং এমডি সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে দক্ষ জনবল বিদেশ থেকে ও আনা লাগতে পারে। কেননা ওভাবে ব্যাংকার হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া নেই। আগে 2001-2008 পর্যন্ত দেশে খুব কম কাষ্টমার ব্যাংকের চেয়ারম্যান নাম ও জানতেন না এমডি সাথে দেখা করতে বহু নামীদামী ব্যবসায়ী রা এমডি রুমে যেতে ঘাম ছুটে যেত। আর এখন একটু ক্ষমতা থাকলে জিজ্ঞেস করেন চেয়ারম্যান এই না তোমক না? এটাই বাস্তবতা কারণ বর্তমান হাতেগোনা কয়েকজন এমডি ছাড়া বাকীরা ব্যাংক এর চেয়ারম্যান পকেট ব্যাংকিং করেন। যার ফলে এখন অনেক এমডি এদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ যা দুদক পর্যন্ত তদন্ত চলছে। তার কারণ চেয়ারম্যান অনিয়ম দূর্নীতি নিজ কাঁধে পুরষ্কার বিজয়ী জন্য। আপনি এমডি আপনার কথায় ব্যাংক চলবে।
আমরা গবেষণা থেকে একটি প্রতিবেদন দিয়েছিলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা কাছে আমি বলেছিলাম আমাদের প্রবাসীদের যদি ৯০% ব্যাংকিং খাত এর ভেতর আনা যায় কিনা এবং তাদেরকে ব্যাংকিং সুবিধা দিলে দেশে একদিকে রেমিট্যান্স অন্যদিকে তারা প্রচুর পরিমাণে আমানত, “ফরেন বন্ড এবং ইনভেষ্ট বৃদ্ধি পেত। কিন্তু বাস্তবে আপনি বাংলাদেশ ব্যাংক রিপোর্ট দেখলে বুঝবেন দেশের ৬৫% ব্যাংক তারা রেমিট্যান্স ও প্রবাসীদের নিয়ে বিন্দুমাত্র কোন সুযোগ সুবিধা নেই তাদের ব্যাংক এই যেমন তাদের জন্য নির্দিষ্ট ব্যাংকিং একাউন্ট, অ্যাপ মাধ্যমে অনলাইন ব্যাংকিং,” লোন সুবিধা, আমানত বিপরীত বিভিন্ন সুবিধা ইত্যাদি। কিন্তু ১০০% ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন তথ্য ও ওয়েবসাইট পর্যন্ত ই সীমাবদ্ধতা আছে? অনেক বলেন আমাকে আপনি একজন ব্যাংকার হয়ে জনগণের ও সরকারের পক্ষে লেখেন এতে সরকার এর অনেক সুবিধা হোন। কিন্তু আমি বাহাবা পাওয়ার জন্য তা করি না। অনেক ব্যাংক রেমিট্যান্স কে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার বাধ্যতামূলক জন্য নামে মাত্র ডিভিশন রাখেন আবার অনেক ব্যাংক একটা ডিভিশন নিয়ন্ত্রণ রাখেন।
দেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে তার ১% দেশে রাখলে আরো ৫ টা পদ্মা সেতু করা সম্ভব। অনেক ব্যাংকের মালিক উচ্চ পর্যায়ের ব্যাংকার ও অনেক ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন পেশার প্রায় ৫০,০০০-“১ লাখ এর উপরে 2nd Home আছে বিভিন্ন দেশে । এসব এর বিরুদ্ধে প্রবাসে যারা আছেন তারা প্রতিবাদ করুন এবং তাদের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন করূন। এখন করোনা ভাইরাস কমিটি হবে এখানে এখন কমিটি থাকার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করবেন। কিন্তু সারাদেশে সকল এমপি মন্ত্রী গণ কেন নিজ এলাকাতে অবস্থান করেন না। এখন তো ঢাকা তেমন কোন গুরুত্বপূর্ন ফরেন মিটিং কিংবা সরকারের কোন অনুষ্ঠান নেই।
প্রবাসীদের মাঝে প্রতি বছর রেমিট্যান্স ও বাংলাদেশী রেমিট্যান্স কোম্পানি খাতের অবদান এর জন্য সিআইপি কার্ড দেন?
এতে কারা পান প্রশ্ন থাকলো? ” এখন বিশ্বের সব দেশ অ্যাপ মাধ্যমে এক্সচেঞ্জ হাউজ গুলো ওয়ালেট চলে গেছেন সেখানে আমাদের ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই ডিজিটাল তাল মিলিয়ে চলছে? বর্তমানে অনেক ব্যাংক এই রেটিং এর কারণে ফরেন ব্যাংক গুলো ফরেন একাউন্ট যাকে ব্যাংকিং ভাষাতে NOSTRU একাউন্ট বলে খুলতে পারছেন না। তার কারণ CAMEL Rating. (The CAMELS acronym stands for “Capital adequacy, Asset quality, Management, Earnings, Liquidity, and Sensitivity)। তারপরও সম্ভব যদি রেমিট্যান্স প্রবাহ দেখাইতে পারে এবং প্রবাসীদের জন্য যুগান্তকারী কিছু ব্যাংকিং ফরেন ব্যাংক গুলোতে বুঝাইতে পারে।
বর্তমান সরকার 2% বোনাস বিশ্বে ব্যাংকিং খাতে খুব সুনাম ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ মনে করছেন আইএমএফ, “আইএমটিসি, আইসিসি সহ ব্যাংকিং নিয়ে যেসব সংস্থা গবেষণা করেন। তাদের কাছে বিশ্বের ৩৩৮ দেশের টাকা পাচার থেকে শুরু করে প্রতিটি ব্যাংকের ভবিষ্যতে অবস্থা তুলে ধরেন এবং সুপারিশ করেন। ভারতের ইয়েস ব্যাংক নিয়ে তাদের প্রতিবেদন সঠিক ছিল এবং বাংলাদেশের ফারমাস ব্যাংক নিয়ে তারা অনেক বার প্রতিবেদন দিয়েছিলেন এখনও অনেক ব্যাংক কি হচ্ছে কি হবে তাদের গবেষণা এবার উঠে এসেছে।
আমি জানি বর্তমান করোনা ভাইরাস কারণে আমার এই লেখা হয়ত অনেকে বিরক্তি হবেন তারপর এই জন্য লেখলাম করোনা মহামারী সুযোগে দেশের প্রচুর টাকা হুন্ডি হবার আশংকা আছে। বিশ্বের বিভিন্ন সুত্র থেকে পাওয়া। আর এই সুযোগটা অবশ্য নিবেন যারা ব্যাংকিং খাত কে শুধুমাত্র লোক দেখানো তারা। এই টাকা পাচার সাথে জড়িত আছেন যারা আমরা সবাই তাদের জানি তারা প্রায়ই সব সেক্টরে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করেন তাদের নিয়ে কোন রাজনীতি নেই কোন আর্দশ ও দেশ প্রেমিক না। তারা বিভিন্ন পেশার হলে ও তাদের নির্দিষ্ট সময়ে সবাই আপন ভাই।
সবাই আমরা যারা শ্রমজীবী তারা দেন শেষে বাসায় আসি তাই এমন কোন অনিয়ম দূর্নীতি ও এসব লাঘব বোড়াল কথা শুনে কাজ করলে ভাল থাকবো কিন্তু কাজ শেষে আপনি আমি ব্যাংকার হয়ে দেশের সাথে বেঈমানী এবং পরিনতি আমরা একদিন তাদের চোখের কালো চশমা হয়ে যাব এবং ফলাফল একদিন হারিয়ে যেতে হতে পারে। তাই সৎ, “সরকার জনগণের জন্য ব্যাংকিং করি এটাই হোক আমাদের দেশের জন্য কিছু করার সুযোগ।
আর অনুরোধ আপনাদের কাছে যারা হুমকিধমকি দিচ্ছেন তাদের ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সবাই অবগত। সবাইতো টাকার কাছে দেশপ্রেম বিলিয়ে দেন না। একজন ব্যাংকার থেকে একজন সাহসী মানুষ আজ খুব দরকার ব্যাংকিং খাতে আর আমাদের যোগ্যতার প্রমাণ তখনই হবে যখন আমাদের জন্য আমার ব্যাংক সুরক্ষা ও জনগণের আস্থা রাখতে পারবেন। বর্তমান সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা অনিয়ম দূর্নীতি বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন আমরা সে জিহাদ এর সৈনিক হতে চাই পারবো তো?
রেমিট্যান্স ও ওয়ালেট শুধুমাত্র ব্যবসা না এটা একটা ব্যাংক বিশ্বের কাছে দেশের ব্যান্ডিং ও ব্যাংক এই বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। রেমিট্যান্স এমন একটি ব্যবসা যার প্রত্যেকটা কাষ্টমার ব্যাংক এর জন্য দেশের 5 জন কাষ্টমার থেকে বড় ভুমিকা রাখেন। আমার মনে আছে সিটি ব্যাংক আমি প্রায় 1500 একাউন্ট খুলি সে ২০০৭-২০০৯” তখনকার সময়ে ঐসব একাউন্টে ৫-৮”কোটি টাকা ডিপোজিট থাকতো। এখনও খবর নিয়ে দেখি এসব একাউন্ট প্রতিনিয়ত ডিপোজিট থাকে। কিছু দিন আগে আমার খোলা এক প্রবাসী একাউন্ট হোল্ডার ২০লাখ পাঠিয়েছেন আর আমাকে বললেন ভাই একটু খবর নিবেন টাকাটা জমা হয়েছে কিনা। সিটি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক রেমিট্যান্স এক দৃষ্টান্ত।
ব্যাংকিং খাত আজকে খুব দরকার সৎ নিষ্টাবান ও দেশ প্রেম উজ্জীবিত হয়ে ব্যাংক কে নিজের পরিবারের একজন মনে করে কাজ করা। ব্যাংক খাত অন্তত অসৎ তেলবাজী ও দক্ষতা এদের সঠিক জায়গায় মূল্যায়ন করা আজ সময়ের জোর দাবী। আমরা চাই না বেসিক ব্যাংক কিংবা ফারমাস ব্যাংক এর মত করে সরকারের আর সুনাম নষ্ট হোক ও জনগণের আস্থা পূর্ণ করা আজ সরকার ও জনগণের দাবী।
এম রতন
এফভিপি ও সিওও মাই ওয়ালেট আন্তর্জাতিক।
হেড অব এন আর বি ডিভিশন
সাংবাদিক ও গবেষক জিসিসি এক্সচেঞ্জ Association ও আইএমটিসি।
আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন কেননা আমি ও আমরা আমাদের ব্যাংক বিশ্বের অন্যতম ব্যাংক হিসাবে জনগণের কাছে আসিতেছি। তাই আপনাদের মতামত বিনীত অনুরোধ করছি।