মধ্যপ্রাচ্যে করোনাভাইরাস ইরানের পর সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে কাতারে। কাতারে কাতারের শিল্পাঞ্চল সানাইয়ার কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এ অঞ্চলে কমপক্ষে দেড় হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক আটকা পড়েছেন।
গত ১৭ মার্চ থেকে সানাইয়ার পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তর-দক্ষিণ প্রান্তজুড়ে প্রতিটি প্রবেশ ও বহির্গমন পথে বসানো হয়েছে পুলিশি পাহারা। কাতার সরকারের পক্ষ থেকে দুই সপ্তাহের জন্য এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কাতারের সানাইয়ারে বাংলাদেশিসহ বিপুলসংখ্যক শ্রমিক বসবাস করেন। তাদের বেশ কয়েকজন জানান, এখানে সরকারিভাবে সেখানে চাল, ডাল, তেলসহ প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। যেসব শ্রমিক এ অবস্থায় কাজে যেতে পারছেন না, মাস শেষে তারা সবাই পুরো মাসের বেতন পাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন শ্রম মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
কাতারের বিপুলসংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক সরকারি তত্ত্বাবধানে কোয়ারেন্টিনে আছেন। এদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশিও রয়েছেন।
চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে কোয়ানেন্টিনে থাকা বাংলাদেশি শ্রমিক সায়মন বলেন, ‘সবজি মার্কেট এলাকা থেকে আমিসহ ৩০-৪০ জন বাংলাদেশিকে চেকআপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের মধ্যে একজনের তাপমাত্রা বেশি থাকায় সতর্কতামূলক আমাদেরও কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য প্রতিদিন তিন বেলা ভালো মানের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া তোয়ালে, প্যান্ট, টুথপেস্টসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপকরণ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিদিন দুই দফা তাপমাত্রা চেক করছেন। প্রতি রুমে একজন করে দুই তলায় মোট আটজন থাকেন এক ভবনে। এমন অনেকগুলো ভবনে প্রায় দেড় হাজারের মতো বাংলাদেশি কর্মী আছেন।’
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ কাতার সরকার বলছে, ‘আমরা ২০১৭ সালে প্রতিবেশী দেশগুলোর আকস্মিক চাপিয়ে দেওয়া অবরোধের দুঃসময় মোকাবিলা করতে পেরেছি, বর্তমানের এই সাময়িক দুর্যোগও আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাটিয়ে উঠব।’