ঠাকুরগাঁওয়ের আলোচিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া স্কুলছাত্রী শ্রাবণী রানীর। গত এক মাস হলো পাশের একটি মন্দিরে গিয়ে সিঁদুর পড়িয়ে স্কুলছাত্রীকে বিয়েও করে স্কুলছাত্রীর প্রেমিক সৎ মামা। বিয়ের পর মোবাইলে কথা বলা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির কারণে ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে হত্যা করে সদ্য বিয়ে করা স্বামী সৎ মামা সোহাগ বর্মণ। ঘাতক নিজেই আদালতে বিচারকের সামনে এমন স্বীকারোক্তি প্রদান করেছেন বলে বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাতে সংবাদ সম্মেলন করে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আবু তাহের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
৫ মার্চ বৃহস্পতিবার ভোররাতে আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে বিচারকের সামনে হাজির করা হয়। এর আগে অভিযান চালিয়ে পুলিশ স্কুলছাত্রী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র, পালিয়ে যাওয়ার সময় ফেলে যাওয়া জুতোসহ নানা আলামত সংগ্রহ করে। নিহত শ্রাবণী রানী আশ্রমপাড়া এলাকার ভবেশ রায়ের মেয়ে। সে ঠাকুরগাঁও সিএম আইয়ুব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। আটক সোহাগ বর্মণ সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের সিংগিয়া সরকারপাড়া গ্রামের ধীরেন চন্দ্র বর্মণের ছেলে এবং নিহত স্কুলছাত্রীর সৎ মামা।
সংবাদ সম্মেলনে ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম, ওসি তদন্ত গোলাম মর্তুজাসহ সদর থানার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত,৪ মার্চ বুধবার রাতে স্বামীর ধারালো ছুড়ির কোপে নিহত হয় স্কুল ছাত্রী শ্রাবণী রানী। পরে রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে সোহাগ বর্মণের নাম উল্লেখ করে আরও ২ আসামীর বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়নের আশ্রমপাড়া এলাকায় ঠাকুরগাঁও-রুহিয়া সড়কে মানববন্ধন করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এতে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
গৌতম চন্দ্র বর্মন
ঠাকুরগাঁও