ডিএমপির বিমান বন্দর থানার মামলা নং-২০, তারিখ- ২৩/০২/২০২০ খ্রিঃ, ধারা -১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন-২৫-অ(ই) এর ১ (অ)/২৫ –উ, ডিএমপির শেরে বাংলা থানার মামলা নং- ২৬, তারিখ-২৪/০২/২০২০ খ্রিঃ, ধারা- ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন-১৯-এ এবং ডিএমপির শেরে বাংলা থানার মামলা নং-২৭, তারিখ-২৪/০২/২০২০ খ্রিঃ, ধারা-১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন-২৫ বি এর ১(বি) সংক্রান্তে শামীমা নুর পাপিয়া, তার স্বামী সুমন, সহযোগী সাব্বির খন্দকার এবং তাইবা নুরদেরকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বর্ণিত মামলা সম্পর্কে অভিয্ক্তুদেরকে ডিবি হেফাজতে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের নিকট থেকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যসমূহ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিচার্য বিষয়সমূহের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাক্ষীদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সমগ্র বিষয় এখনও তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রদান করা হয়নি। কিন্তু উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি কিছু কিছু গণমাধ্যমে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সাথে কোন রকম আলাপ-আলোচনা না করে তদন্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করছে। তদন্তে প্রাপ্ত কথিত তথ্য হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নাম ও পরিচয় প্রকাশ ও প্রচার করছে। যার সাথে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ততা নেই কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে কোন সামঞ্জস্য নেই।

তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে রিমান্ডে থাকা অভিযুক্তদের সম্পর্কে মনগড়া তথ্য প্রচারের ফলে তদন্তকারী কর্মকর্তার উপর মনস্তাত্বিক ও সামাজিক চাপ তৈরী হয়। যার ফলে বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত ব্যাহত ও বাধাঁগ্রস্থ হতে পারে। বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষাপটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সংশ্লিষ্ট সকলকে পেশাদারী ও দায়িত্বশীল আচরন প্রদর্শনের জন্য অনুরোধ করছে ।

(মোঃ মাসুদুর রহমান, পিপিএম)
বিপি-৭০০১০২০৮৮৮
উপ-পুলিশ কমিশনার
মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা।