ফরিদপুরের শহরের পূর্ব খাবাসপুরে স্বামী ও স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। বন্ধ ঘরের মধ্যে মৃতদেহ পাওয়া যায়। নিহতরা হলেন, রাজিব বণিক (৩৫) ও তার স্ত্রী সোনালী বণিক (২২)। রাজিব বণিকের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায়। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। অপরদিকে সোনালী বণিকের বাড়িও মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারি গ্রামে। পিতার নাম খোকন বণিক। পূর্ব খাবাসপুরের লঞ্চঘাট মহল্লার শওকত সরদার জানান, বছর খানেক আগে এই দম্পতি তার বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। এদের মধ্যে রাজিব সদর উপজেলার মমিন খাঁর হাটে অবস্থিত একটি কলেজে শিক্ষকতা এবং তার স্ত্রী টিউশনি করেন বলে তাদের জানান।
ওই বাড়ির আরেক ভাড়াটিয়া ফারুক শিকদার জানান, সোনালীর খালা সোমবার সন্ধার সময় তাদের ঘরের একটি দরজা বন্ধ ও আরেকটি তালা দেয়া দেখতে পেয়ে তার স্ত্রীকে ডাকেন। ডাক দেয়ার পরেও তারা দরজা খুলেনি। পরে বাজার থেকে লোক এনে তালা ভাঙলেও ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় খুলতে পারেননি। তিনি জানান, এরপর তার খালা জানালা ভাঙলে তারা দেখতে পান যে, ঘরের মধ্যে গলায় দড়ি নেয়া অবস্থায় স্বামীর লাশ ঝুলছে। আর স্ত্রীর মৃতদেহ বিছানায় পড়ে আছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসা সোনালীর খালু জানান, দুই বছর আগে রাজিব ও সোনালী প্রেম করে একে অপরকে বিয়ে করে। এরপর থেকে তারা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। বিয়ে করার পর তারা ফরিদপুর শহরে এসে বসবাস করা শুরু করেন। তাদের কোনো সন্তান নেই। সম্প্রতি কথা প্রসঙ্গে রাজিব তাকে জানায় যে, সে চরের একটি কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছে। ফরিদপুর কোতয়ালী থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, পুলিশ দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রাজীবের এবং শয্যায় পড়ে থাকা অবস্থায় স্বপ্নার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, যে ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় সেটি ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মঙ্গলবার পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।