বর্তমানে সারাবিশ্বে প্রায় ১শ’র মতো দেশে ই-পাসপোর্ট ব্যবহৃত হচ্ছে। কাগুজে বই আকারে পাসপোর্টের দিন ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। বাংলাদেশেও পাওয়া যাবে ই-পাসপোর্ট। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নেয়া হয়েছে নতুন উদ্যোগ। সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মধ্যে দেশের সব জায়গায় ও বিদেশের কেন্দ্রে ই-পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। এই ই-পাসপোর্ট কীভাবে পাওয়া যাবে জানেন কী?
কীভাবে পাওয়া যাবে ই-পাসপোর্ট
কোনও ছবি এবং কোনও ধরনের কাগজপত্র সত্যায়ন ছাড়াই ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে অথবা পিডিএফ ফরমেট ডাউনলোড করে পূরণ করা যাবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রসহ বাবা-মায়ের এনআইডির কপি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবেদনপত্র গ্রহণের সময় হাতের ১০ আঙুলের ছাপ, ছবি ও চোখের আইরিশ ফিচার নেয়া হবে। আবেদন করার বিস্তারিত নিয়মাবলী অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। অতি জরুরি ক্ষেত্রে ই-পাসপোর্ট করার জন্য প্রি-পুলিশ ভেরিফিকেশন নিজ উদ্যোগে করে নিয়ে যেতে হবে বলে জানান সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান।
ই-পাসপোর্টের মেয়াদ, বিতরণের সময় ও ফি
সুরক্ষা সেবা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৪৮ পৃষ্ঠা ৫ বছরের জন্য সাধারণ ফি (১৫ দিন) সাড়ে তিন হাজার টাকা, জরুরি (৭ দিন) সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা এবং অতি জরুরি (২ দিন) সাড়ে সাত হাজার টাকা। আর ১০ বছরের জন্য সাধারণ (১৫ দিন) ফি পাঁচ হাজার টাকা, জরুরি (৭ দিন) সাত হাজার টাকা এবং অতি জরুরি (২ দিন) নয় হাজার টাকা।
৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছরের সাধারণ (১৫ দিন) ফি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা, জরুরি (৭ দিন) সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং অতি জরুরি (২ দিন) সাড়ে ১০ হাজার টাকা। আর ১০ বছরের জন্য সাধারণ (১৫ দিন) সাত হাজার টাকা, জরুরি (৭ দিন) নয় হাজার টাকা এবং অতি জরুরি (২দিন) ১২ হাজার টাকা।
সব ফি’র সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ হবে
আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের নাগরিকদের বিদেশ গমনকে আরও সহজ ও সাবলিল করবে এবং দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে গতিশীল করবে। ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ পাবে এক অনন্য উচ্চতা এবং ই-পাসপোর্টের গ্রাহক হিসেবে বাংলাদেশের নাগরিকরাও বিশেষ মর্যাদা লাভ করবে বলে মনে করে সরকার।
যা কিছু লাগবে ই-পাসপোর্ট করতে
ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।