রাজধানীর পাঁচটি স্থানে পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনায় নব্য জেএমবির দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের একটি টিম। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন শনির আখড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ সোমবার পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. জামালউদ্দিন রফিক (২৬) ও মো.আনোয়ার হোসেন (২৫)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, তারা নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য এবং ঢাকা শহরে পুলিশের ওপর পাঁচ জায়গায় হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
গ্রেপ্তারকৃতরা আরও জানায়, ফতুল্লা থানাধীন তক্কার মোড়ে রফিকের নিজ বাড়িতে বোমা তৈরির কারখানায় বোমাগুলো তৈরি করা হয়। পরে রফিকের নেতৃত্বে অন্যান্যদের সহযোগিতায় গত ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল গুলিস্তান, ২৬ মে মালিবাগ, ২৩ জুলাই ২০১৯ পল্টন মোড় ও খামারবাড়ি এবং সর্বশেষ ৩১ আগস্ট সাইন্সল্যাব মোড়ে বোমা হামলাগুলো ঘটায়। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় পূর্বে গ্রেপ্তারকৃতদের সহযোগী আসামি ফরিদ উদ্দিনি রুমি, আব্দুল্লাহ আজমীর, মেহেদী হাসান তামিম, মিশুক খানদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে নারায়ণগঞ্জ তক্কার মোড়ে রফিকের বোমা তৈরির কারখানায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট অভিযান পরিচালনা করে তাজা বোমাসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকদ্রব্য ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তারা কালো পোশাক পরিধান করে খেলনা অস্ত্র, বোমাসহ সুইসাইডাইল ভেস্ট পড়ে বিভিন্ন উগ্রবাদী কথাবার্তা সম্বলিত একটি ভিডিও ক্লিপ অনলাইনে প্রচার করছিল। ভিডিওটা তারা পুলিশের মনোবল ভেঙে দিতে ও তাদের উগ্রবাদী সংগঠনের সক্ষমতা জানান দিতে এবং রিক্রুটমেন্ট তরান্বিত করতে অনলাইনে প্রচার করেছিল। আসামিদের গুলিস্তানে বোমা হামলা সংক্রান্ত মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও বিস্তারিত তথ্য উদঘাটিত হবে।