‘আমরা বুঝছি না, কেন ভারত সরকার নাগরিকত্ব সংশোধন আইন করেছে। এর প্রয়োজন ছিল না।’ এমনটি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে গালফ নিউজকে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে এমনটি বলেন তিনি। এটি ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ঐ সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কথা বলেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক তালিকা এনআরসি নিয়ে যখন ভারতের অভ্যন্তরে তীব্র আন্দোলন চলছে ঠিক তখনই এ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারতে পাড়ি দেয়া কেউ বাংলাদেশে ফিরে এসেছে এমন নজির নেই। এছাড়া ভারত নিজেই নানা সমস্যায় রয়েছে।’
নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) নিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান শেখ হাসিনা। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ সুসম্পর্ক রয়েছে। বেশ কিছু বিষয়ে ভারত বাংলাদেশকে সহায়তা করছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গা সঙ্কটের শুরু মিয়ানমারে। তাদের কাছেই এর সমাধান রয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। এখন পর্যন্ত দু’বার প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়া হলেও কোনো রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় সেখানে যেতে চায়নি। ফলে বাংলাদেশের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমার আসলে প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগের জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শতভাগ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।