গাজীপুরের শ্রীপুরে এক স্কুল ছাত্রীকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করেছে বলে থানায় অভিযোগ করেছে ধর্ষিতার মা। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় পুলিশ বৃহষ্পতিবার এক গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতের নাম উর্মি (১৮)। সে শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকার হারুনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া কবিরের স্ত্রী।
ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী ও তার মা’সহ স্থানীয়রা জানান, শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকার বাসায় স্বামী সন্তানদের নিয়ে থেকে স্থানীয় এক পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে হিসেবে কাজ করেন হাসিনা। তার মেয়ে স্থানীয় শিশু শিক্ষা মডেল স্কুল এন্ড একাডেমীর অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। বিদ্যালয়ের যাওয়া-আসার পথে তাকে বেশ কিছুদিন ধরে নয়নপুর এলাকার সোহরাবের ছেলে শরীফ (১৮) প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া না দেওয়ায় তাকে নানা হুমকি দেয় শরীফ। বুধবার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে শরীফ ওই শিক্ষার্থীর মুখে গামছা বেঁধে পাশর্^বর্তী আসাদ মোল্লার বাড়ীর পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে জোরপূর্বক নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ালে ছাত্রীটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে ধর্ষণের পর শরীফ পালিয়ে যায়। এদিকে কারখানা থেকে বাসায় ফিরে মেয়ে দেখতে না পেয়ে তার মা প্রতিবেশীদের নিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তারা ওই জঙ্গল থেকে কিশোরী ছাত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। চিকিৎসা শেষে জ্ঞান ফিরে এলে ছাত্রীটি স্বজনদের কাছে ধর্ষণের ঘটনা জানায়। এ ব্যাপারে শরীফসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে ধর্ষিতার মা শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শ্রীপুর থানার এসআই নাজমুস সাকীব জানান, পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এঘটনায় মামলার এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।