মাদারীপুরের উত্তর হোসেনপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই গ্রুপের রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে বুধবার সকাল ১১টায় মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। পরে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঘন্টব্যাপী মানববন্ধন করে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার হরিদাসদী-মহেন্দদী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দেলোয়ার মুনশির সঙ্গে একই এলাকার জামাল খালাসির দির্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে গেলো শুক্রবার ফজরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে দেলোয়ার মুন্সীর লোকজন বাবুল খালাশী, জামাল খালাশী, জুলফিকার খালাশী ও তাদের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা করে এবং কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এই সংঘর্ষের ঘনটনায় মারাত্মক আহত বাবুল মুন্সী (৪৫) ও জুলফিকার খালাশী (৫৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মামলায় হোসেনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু, দেলোয়ার মেম্বার, আয়নাল শেখ, মোমরেচ খালাশীসহ ৮৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ২৫ জনকে বিবাদী করে গত সোমবার রাতে রাজৈর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন সংঘর্ষে নিহত জুলফিকার খালাশীর ছোট ভাই শদি খালাশী।

এদিকে নৃশংস দুই খুনের ঘটনা পর পুলিশ এখনো কাউকে প্রেফতার করতে না পারায় জনমনে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে নানা ধরণের কানঘুষা চলছে। আসামী ধরতে না পারায় এলাকাবাসী বিক্ষুব্দ হয়ে উঠছে। খুনীদের ফাসির দাবীতে এলাকার নারী, পুরুষ ও শিশুরা প্রতিনিয়ত রাজৈরে বিক্ষোভ মিছিল করে যাচ্ছে। যদিও আসামীদের প্রেফতারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঘন্টব্যাপী মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজৈর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শান্তি রঞ্জন দাস, হরিদাসদী-মহেন্দীর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, নিহত জুলফিকার খালাসীর মেয়ে মরিয়ন আক্তার, নিহত বাবুল মুন্সীর ছেলে প্রমুখ। পরে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলামে কাছে বিচারের দাবীতে স্মারণলিপি দেয়া হয়।

এব্যাপারে রাজৈর থানার ওসি খোন্দকার সওকত জাহান জানান, দুই জন খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের ধরার ব্যাপারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।

সাবরীনজেরীন,মাদারীপুর।