আসন্ন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে এমপিরা কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। এমনকি তিনি বলেছেন, বিধি অনুযায়ী এমপিরা নির্বাচনও সমন্বয় করতে পারেন না।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠকে বসে আওয়ামী লীগের উত্তর সিটি নির্বাচনের প্রধান সম্বয়ক তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের ব্যাপারে এমপিরা সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না। এছাড়া তারা সবই করতে পারবেন। নির্বাচনের বাইরে তাদের নিষ্ক্রিয় করার কোনো সুযোগ নেই। তবে বিধিতে আছে, নির্বাচনের সমন্বয়ও তারা করতে পারবেন না। এমনকি নির্বাচনের কোনো কার্যক্রম ঘরোয়া হোক বা বাইরেই হোক সেটাও তারা করতে পারবেন না। তাদেরকে আমরা বুঝিয়ে বলেছি। নির্বাচনের ব্যাপারে যাদের নিষেধাজ্ঞা আছে- প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলতে পারবেন না। তোফায়েল আহমেদ ও আমির হোসেন আমুকে দুই সিটি নির্বাচনের সমনমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা কি এ দায়িত্বে থাকতে পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মনে হয় তারা থাকতে পারেন না। তবে সমন্বয়ক কমিটিতে কে আছে অফিসিয়ালি তেমন কিছু পাইনি। পেলে তাদের নিষেধ করব।

প্রার্থীর সঙ্গে এমপিরা থাকতে পারবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রার্থীর সঙ্গে এমপিরা থাকতে পারবেন কিনা আইনে তো তেমন কোনো বাধা-নিষেধ নেই। তারা পার্টির লোক হিসেবে কোনো একটি নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থাকলে যেতে পারবেন। এছাড়া প্রার্থী যেতে পারবেন কিনা সেটি আমি বলতে পারি না। এমপিরা যেতে পারবেস, তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হবে না। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন মুজিববর্ষ পালন হচ্ছে, সেখানে তো যেকোনো সভা সমাবেশের আয়োজন হতে পারে, সেখানে তো সবাই যেতে পারবে।

আচরণ বিধি অনুযায়ী তারা আজকে যে বৈঠকটি করেছেন এটা করতে পারেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পারেন, কারণ তারা কোনো প্রার্থী অথবা দলের কোনো কথা নিয়ে এখানে আসেননি। তারা এসেছেন নির্বাচনের বিধিতে কি আছে সেটা জানার জন্য।সিইসির নেতৃত্বে ইসির পক্ষে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, উত্তর সিটির মিডিয়া সেলের সদস্য জয়দেব নন্দী।

নির্বাচনী প্রচার শুরুর দ্বিতীয় দিনের মাথায় তারা এই বৈঠকে বসলেন। এর আগে বিএনপির দুই প্রার্থীই আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। এরই মধ্যে উত্তর সিটির মেয়র পদপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শোকজের উত্তর দিয়েছে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি)-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।