কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঢাকা মহনগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মঙ্গলবার মামলার এজাহার গ্রহণ করে এই নির্দেশ দেন। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা ঘটনার দিন রাতেই ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যাচাই শেষে পরদিন অভিযোগটি পরে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত একজনকেই আসামি করা হয়েছে।
মামলাটি প্রথমে ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। পরে তদন্তভার যায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে। তবে ডিবির কোন কর্মকর্তা তদন্তের ভার পেয়েছেন আদালত পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগ জানাতে পারেনি। সিএমএম আদালতে ক্যান্টনমেন্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই দীপক কুমার মিত্র বলেন, আদালতে পাঠানো নথিতে আগের তদন্ত কর্মকর্তার নামই রয়েছে। ডিবির কোন কর্মকর্তার উপর তদন্তভার পড়েছে তা আমাদের জানা নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী শেওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে রোববার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে নেমে ধর্ষিত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পরপরই তিনি আক্রান্ত হন। মুখ চেপে ধরে তাকে তুলে সড়কের পাশে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ওই দিন গভীর রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। মেয়েটির দেওয়া বর্ণনা থেকে পুলিশ ধারণা পেয়েছে, ধর্ষণকারী একজনই, তার বয়স ২৫-৩০ বছরের মতো। ধর্ষণের খবর শোনার পর ওই রাত থেকেই বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নির্যাতিত ছাত্রীটির চিকিৎসা চলছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এদিকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, একনম্বর অগ্রাধিকার দিয়ে কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ। পুলিশের সব ইউনিট অপরাধীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।