ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থাকলেও আওয়ামী লীগ নির্বাচন অংশগ্রহণ করবে, না থাকলেও করবে। এ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। ইভিএম নিয়ে ইসির যে কোনো সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ মেনে নেবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম বিতর্কে আমরা জড়াতে চাই না। এটা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়। ইভিএম পদ্ধতি থাকলেও আমরা নির্বাচনে আছি, আর ইভিএম পদ্ধতি না থাকলেও আমাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো আপত্তি নেই।

আইসিটি আইনে সাংবাদিকদের হয়রানির বিষয়ে তিনি বলেন, এ আইনে কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তি যদি সাজা পেয়ে থাকে তবে তা তদন্ত করা হবে। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তদন্ত করে আমরা সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আইসিটি আইনের মামলায় তদন্ত করেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা। তবে কোনো সাংবাদিক হোক বা কোনো নিরীহ কেউ অহেতুক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে হয়রানি হওয়ার কথা নয়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর ও কবিরহাট উপজেলার সম্ভাব্য অংশকে ইকোনোমিক জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে সরকার ৪ হাজার ৮৩৫ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে জেলায় বেকারদের কর্মসংস্থানের সুব্যবস্থা হবে।

এ সময় তিনি জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধু মুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার কবিরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে শীতার্তদের মাঝে কম্বল ও শুকনা খাবার বিতরণ করেন।

এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্পবিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নূরনবী চৌধুরী, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।