রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের সেই ছাত্রীর ধর্ষণের আলামত মিলেছে। জানিয়েছেন ফরেনসিক চিকিৎসক বিভাগীয় প্রধান সোহেল মাহমুদ। সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে নমুনা সংগ্রহের পর তিনি একথা জানান। ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ওই ছাত্রীর শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষক একাধিক কিনা তার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার গলায় নখের আঘাত পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থীর পায়েও আঘাতের চিহ্ন আছে। সেগুলো ধস্তাধস্তির চিহ্ন হতে পারে বা আশপাশের গাছের ডালপালায় লেগেও এমন হতে পারে।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাসে রওনা দেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে শারীরিক নির্যাতনও করা হয়। ধর্ষণের একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢামেকে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন।