ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ণ দায়িত্ব পেলেন আল নাহিয়ান খান জয়। একইসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন লেখক ভট্টাচার্য। তারা দুজনই এতদিন ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আজ শনিবার দুপুরে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুনর্মিলনীর আয়োজন করে দলটি। ওই অনুষ্ঠানে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে জয় ও লেখকের নাম ঘোষণা করেন।

নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। পরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লেখক ভট্টাচার্য দায়িত্ব পান। এর পর পেরিয়ে গেছে তিন মাস। এই সময়ের মধ্যে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও সাদাসিধে জীবনাচরণ আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নজর কেড়েছে। ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের চার নেতাও জয় ও লেখককে পূর্ণ দায়িত্ব অর্পণের বিষয়ে ইতিবাচক ছিলেন বলে জানা গেছে।

২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিজেরা কমিটি করতে ব্যর্থ হলে ৩১ জুলাই শেখ হাসিনা সাংগঠনিকভাবে অর্পিত ক্ষমতাবলে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন। এর প্রায় ১০ মাস প্রতীক্ষার পর গত ১৩ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত, সংগঠনটি ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়।