সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কেএম খালিদ এমপি বলেছেন, বতর্মান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের কৃষি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার করে খাদ্যে সয়ংসম্পূণ্তা অর্জন করেছে দেশ। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে চাষি পর্যায়ে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। সরকার নতুন নতুন জাত উৎভাবনের পাশাপাশি কৃষি যন্ত্র ও চাষাবাদের উপকরণ প্রান্তিক পয্য়ের চাষিদের জন্য সহজীকরণ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে কাঁচারী খাল পূন:খনন ও সংস্কার কাজ উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন। উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা সুর্বণা সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএসডিসির ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলার ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মুহম্মদ বদরুল আলম, ময়মনসিংহ অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী রনি সাহা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকার, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আরব আলী, ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ সুমন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট বড় খাল নালাগুলো পূন:খনন ও সংস্কারের মাধ্যমে সরকার ভূ-গভ্ঈঙচণ;স্’ পানির নিভ্শীলতা কমিয়ে সেচ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে এই কাচারী খাল পূন:খননের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। খালটি পূন:খনন কাজ শেষ হলে আগামী তিন মাসের মধ্যে কাতকাই, রঘুনাথপুর, নিমুরিয়া এলাকার শত শত কৃষক উপকৃত হবে। এতে সহস্রাধিক হেক্টর ফসলি জমির জলাবদ্ধতা দূর হবে। এসব জমিতে বছরে তিনটি ফসল ফলানোর সুযোগ পাবে কৃষকরা। তিনি খালটি পূণ:খনন কাজে এলাকাবাসীর সবাইকে সহযোগিতা করার আহবান জানান।
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী বদরুল আলম জানান, বিএসডিসির ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলার ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ২৯ লাখ টাকা ব্যায়ে রঘুনাথাপুর ব্রীজ থেকে সোনারগাঁও হয়ে কাতকাই কচুয়া খাল পয্ন্ত ৩ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। উপরে ২৬ ফুট, তলায় ১০ ফুট প্রস্’ ধরে ৬ ফুট গভীরতায় খনন করা হবে খালটি। বানার নদীতে পানির প্রবাহিত করার লক্ষ্যে এর আগে কচুয়া খালটিও বিএডিসির এ প্রকল্পের আওতায় পূনখনন করা হয়েছে। খালের দুই পাড়ে বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে বনায়ন করা হবে।
দীর্ঘ দিন ধরে কোন ধরণের সংস্কার না হওয়ায় খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় এই এলাকার ডনোরা, চেচুয়াকুড়ি, তারাকুড়ি বিলসহ কয়েক বিলে বর্ষাকালে জলাবন্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বোরো ও আমন মৌসুমে ব্যাপকভাবে কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এ খাল খননের ফলে কৃষক এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী হরিপুর গ্রামে বিএডিসির একই প্রকল্পের আওতায় সোলার চালিত ডাগওয়েল(পাতকুয়া) উদ্বোধন করেন। ডিপ সেচ পদ্ধতির মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত কম পানি লাগে এমন ফসল সবজি, ফুল, ফল জাতীয় ফসল উৎপাদনে সেচের সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষে সৌর শক্তি চালিত ডাগওয়েল(পাতকুয়া) ও পাম্প স্’াপন প্রকল্পের এ পাম্পের মাধ্যমে ঐ এলাকার ১০/১২ একর উচু জমি সেচ শুস্ক মৌসুমে সেচ সুবিধার আওতায় আসবে। ১৩ লাখ টাকা ব্যায়ে স্থাপিত এ সোলার চালিত ডাগওয়েলে ৬ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার প্যানেল, ৩ দশমিক ৭ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প, ৩ হাজার লিটার পানির ট্যাঙ্ক ও সেকেন্টে ৫ লিটার পানি নিগ্ঈঙচণ;মনের সুবিধা রয়েছে বলে বিএডিসি কত্পক্ষ জানিয়েছেন। সূত্রটি আরো জানায়, এ প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহ অঞ্চলে আরো ২০টি এ ধরণের প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে।
খালেদ খুররম পারভেজ ময়মনসিংহ জেলা