বর্তমান সরকার প্রবাসীদের জন্য যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা বিশ্বের এখন যেকোন দেশের তুলনায় এক কথায় বিস্ময়কর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা সরকার বলে আমি তা বলছি না। বর্তমান সরকার এর উল্লেখ যোগ্য কিছু সিদ্ধান্ত যদি না বলি সে ক্ষেত্রে এটা অমানবিক ও জানানো দরকার। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
১।বাংলাদেশ বর্তমানে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বিগত অর্থ বছরের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। যা ৩ গুন বৃদ্ধি করা সম্ভব যদি সব ব্যাংক গুলোকে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে তবে কিছু ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য মূল্যায়ন করছেন। ইতিমধ্যেই নতুন ব্যাংক এর মধ্যে একটি ব্যাংক এক বছরে ৮ টি বড় বড় এক্সচেঞ্জ হাউজ সাথে চুক্তি করে রেকর্ড করেছেন।
২। প্রবাসীদের সহজ কিস্তিতে গৃহ ঋন সহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছেনও বাস্তবায়ন হচ্ছে। সকল ব্যাংক এই প্রবাসীদের লোনসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়মিত ব্যাংকিং আওতাধীন করা উচিত। সেক্ষেত্রে অবৈধ হুন্ডি ৭৯% কমে যাবে । তার কারণ হচ্ছে, বৈধ রেমিটেন্স না পাঠালে সেক্ষেত্রে তারা ব্যাংকিং সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।
৩। এয়ার পোর্ট যেসব অনিয়ম দুর্নীতি হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা বিভিন্ন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
৪। প্রবাসীদের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা শুরু হয়েছে।
৫। অবৈধভাবে হুন্ডি, অসামাজিক কার্যকলাপ, ভিসার দালালী বন্ধ করলে গতমাসে হিসেবে ১৫৫৬ মিলিয়ন ডলার বিপরীত দেশে ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ বাড়বে ৩০০০ মিলিয়ন ডলার।
৬। অবৈধভাবে হুন্ডি বন্ধ করতে হলে দূতাবাস গুলোতে তাদের তালিকা আছে তাদেরকে দলমত নির্বিশেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
৭। অনলাইনে প্রবাসে বসে একাউন্ট খুলতে পারা। এবং বিদেশে যাওয়ার আগে বাধ্যতামূলক ইউনিক প্রবাসীদের নামে একাউন্ট থাকা এবং খোলা।
৮। একাউন্ট সাথে বীমা সুবিধা দেয়া।
৯। এয়ার পোর্টে নির্দিষ্ট নম্বর অভিযোগ যেমন ৯৯৯ এমন নির্দিষ্টকরণ অভিযোগ চ্যানেল চালু করা এবং অভিযোগ সাথে সাথে সমস্যা সমাধান বাধ্যতামূলক করা।
১০। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ব্যাংক গুলো বিভিন্ন ব্যবসায়িক মেলাতে অংশগ্রহণ করতে পারে প্রচারণা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটা একটু আমার রিপোর্ট দিয়ে দিবেন।
পাদটীকা: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কাছে আকুল আবেদন, যেসব দূতাবাস/ হাইকমিশন/ মিশন অনিয়ম দুর্নীতি সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেকের আমলনামা ইতিমধ্যেই আপনার কাছে আছে। তাদের বিরুদ্ধে শুদ্ধিকরণ অভিযান চালানো অতিবজরুরী।
আমাদের স্লোগান হোক”” প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চাবিকাঠি ও অর্থনৈতিক মুক্তিযোদ্ধা””
ধন্যবাদ
এম রানা রতন
সাংবাদিক
ব্যাংকার অব আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও রেমিটেন্স ওয়ালেট।
রেমিটেন্স ওয়ালেট বিশেষজ্ঞ।
আন্তর্জাতিক সদস্য আইএমটিসি।