স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে নীলফামারী জেলায় নতুনভাবে যোগদান করেন ৭৬জন নিবন্ধিত (রেজিষ্ট্রার) চিকিৎসক। নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে, রবিবার (২২ ডিসেম্বর)দুপুরের দিকে সদর আধুনিক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে নতুন চিকিৎসকদের ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বরন করেন সিভিল সার্জন।
এ সময়ে তিনি বলেন, ৩৯তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন তারা।ওই ৭৬ জন চিকিৎসক জেলার ছয় উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেপ্লেক্সে সেবার মান উন্নয়নে কাজ করবেন।এরমধ্যে নীলফামারী সদরে ১৩জন ও ডোমার,ডিমলা,জলঢাকা,সৈয়দপুর এবং কিশোরীগঞ্জ সহ ৫ উপজেলায় বিভিন্ন সংখ্যায় যোগদানকৃত ৬৩ জন চিকিৎসক একই ভাবে কাজ করবেন।
এ ব্যাপারে, ডা. মো. শহিদুজ্জামানের অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, তৃণমুল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা দিতে নিবেদিত হয়ে কাজ করার অঙ্গিকার নিয়ে চাকুরিতে যোগদান করেছি। সরকারের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কমপক্ষে দুই বছর গ্রামে থেকে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে এর কোন বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন, আমি গ্রামের আলো বাতাসে বড় হয়েছি, পড়াশুনা করেছি গ্রামের বিদ্যালয়ে, তাই গ্রামের মানুষকে সেবা দিতে পারব এজন্য নিজেকে ধন্য মনে করছি।
নীলফামারীর সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মো. আবু সফি মাহমুদ বলেন, চিকিৎসকের অভাবে দীর্ঘদিন থেকে ১০০ শয্যার হাসপাতালে ৫০ শয্যার লোকবল দিয়ে চালাতে হচ্ছে। এতে রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হয়। প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হয় রোগিরা। নতুন চিকিৎসক আসায় হাসপাতালের ভর্তি রোগির সেবা নিশ্চিত করা যাবে বলে মনে করেন তিনি।
সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন অনেকটাই স্বস্তির দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, জেলায় ৭৬ জন চিকিৎসক যোগদান করায় চিকিৎসার মান একধাপ এগিয়ে গেল। উপজেলা ভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিকে গ্রামের মানুষ ঘরে বসে মান সম্মত স্বাস্থ্য সেবা পাবে এটি একটি ভাল খবর।একইভাবে উপজেলা ভিত্তিক হাসপাতালে সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন তিনি।
সুজন মহিনুল,বিশেষ প্রতিনিধি॥