কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়াকে মুক্তি না দিলে আগামী বৃহস্পতিবারের পর কী হবে তা বলতে পারব না বলে মন্তব্য করেছেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপি সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপি নেতা বুলবুল সরকারের প্রতি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
একই সময় কারাগারে সাজা ভোগরত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানান রাজশাহীর যুবদল নেতারা। দলীয় নেত্রীর মুক্তির দাবিতে শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। মহানগর যুবদলের উদ্যোগে বেলা ১১টার দিকে মালোপাড়ায় থাকা মহানগর বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করা হয়। অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ।
বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজশাহী মহানগর বিএনপি সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, সরকার অন্যায়ভাবে বেগম জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে। এরপরও আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে কারাগার থেকে মুক্ত হতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, সরকার একের পর এক চল চাতুরি করে অনৈতিকভাবে অত্যাচার করে যাচ্ছে। আজ সাধারণ মানুষের মত প্রকাশের অধিকারও নেই। দলীয় চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি ঘটছে। অথচ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই দলীয় প্রধানকে কারাগারে রেখে নেতাকর্মীরা আর বসে থাকতে পারে না। ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে মুক্তি না দেওয়া হলে তারপর কী হবে আমরা বলতে পারবো না।
বুলবুল বলেন, সরকারের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। বাংলাদেশে এখন কোন গণতন্ত্র নাই। আর গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। এই সরকার দেশকে বিক্রি করার জন্য পাঁয়তারা করছে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে তাই বেগম খালেদা জিয়ার বিকল্প নাই।
এর আগে শনিবার সকালে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করেন যুবদল নেতারা। কিন্তু পুলিশি বাধায় মিছিলটি পন্ডু হয়ে যায়। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই বসে পড়েন নেতাকর্মীরা। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় যুবদলের।
রাজশাহী মহানগর যুবদল সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইটের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা যুবদল সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, সম্পাদক শফিকুল আলম।