আজ ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ বিকেল ২টায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট হল রুমে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর উদ্যোগে যুবলীগ প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি’র ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জননেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এড. সৈয়দ রেজাউর রহমান। সভাপতিত্ব করেন-যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। সভা সঞ্চালনা করেন-যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি বলেন- আওয়ামী যুবলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে হবে। তিনি বলেন, যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সুসংগঠিত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমুলক কাজে সহায়তা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, শেখ ফজলুল হক মনি যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার জন্য বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। আজকের যুকলীগকে সেই আদর্শ ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালবেশে নি:স্বার্থে যারা রাজনীতি করে তারাই আওয়ামী লীগের প্রান। সুবিধাবাদীরা দু:সময়ে আওয়ামী লীগের পাশে থাকবে না। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে সুবিধাবাদীরা বঙ্গবন্ধুকে দেখতে আসেনি। বঙ্গবন্ধকে হত্যার ঘটনার সময় সাবেক সেনা প্রধান কে এম সফিউল্লাহ এবং জিয়াউর রহমান এগিয়ে আসেনি। তারা খন্দকার মুসতাকের সাথে যোগাযোগ রেখেছিল। শেখ সেলিম বলেন, দেশ স্বাধীনের পরে বঙ্গবন্ধু দেশ গড়ার লক্ষে যখন কাজ শুরু করলেন তখন অতিবিপ্লবীরা জাসদ সৃষ্টি করে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুর বিরোধীতা করে। তারা ছাত্রলীগকে বিভক্ত করে। তারা আসলে বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের ভালো চায়নি। তাদের কারণে দেশ ৫০ বছর পিছিয়ে গেছে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন- আজ ৪ঠা ডিসেম্বর ২০১৯ আমার বাবা শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি’র ৮০তম জন্মদিন। ঠিক এই দিনে ১৯৩৯ সালে তাঁর জন্ম হয় টুঙ্গিপাড়ায়, সেখানে জন্ম নিয়েছিল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমার বাবা খুব অল্প বয়সেই তাঁর মামা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শ ও নেতৃত্ব বুকে ধারণ করে বাঙ্গালী জাতির অধিকার অর্জনের লড়াইয়ে সম্পূর্ণভাবে জড়িত হয়ে যায়। ২১ বছর বয়সে ১৯৬০ সালে তিনি নির্বাচিত হন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব। যে দায়িত্ব তিনি পালন করেন ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত। ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত থাকার সময় তিনি গড়ে উঠেন আইউব বিরোধী রাজনীতির একজন প্রতিবাদী রাজপথের সৈনিক হিসাবে। তিনি বলেন-বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর দ্বারা নির্ধারিত ৬ দফা যা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসাবে পরিচিত। তা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের কাছে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। তিনি বিভিন্ন মেয়াদে জেল খেটেছেন। তিনি আরও বলেন-আমার বাবা সবসময় বিশ্বাস করতেন যে, বাঙালি জাতিকে দীর্ঘ মেয়াদী শোষনমুক্ত করতে তিনটি মূল বিষয় দরকার ঃ সার্বিক আদর্শ, দেশপ্রেমিক ও সাহসী নেতৃত্ব এবং একটি শক্তিশালী সুসংগঠিত রাজনৈতিক সংগঠন। তিনি বলেন-শেখ মনি বিশ্বাস করতেন যে, বাঙালি জাতিকে শোষনমুক্ত করা সম্ভব, কিন্তু সহজ নয়, কারণ সবসময় বিপ্লবীদের উপর প্রতি বিপ্লবীরা আক্রমণ করে এবং কখনো কখনো সুনিশ্চিত বিজয় পরাজয়ে রূপ নেয়। তাই স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন সময় তিনি সংগঠিত করেন মুজিব বাহিনী। যার লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাঁর নেতৃত্ব অক্ষুন্ন রাখা। কারণ তিনি জানতেন বঙ্গবন্ধু মুজিবকে যদি চড়ষরঃরপধষষু ঝরফবষরহব করা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও চড়ষরঃরপধষষু ঝরফবষরহব হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন-স্বাধীনতার পর বাবার লক্ষ্য ছিল একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে এবং একজন। সাংবাদিক হিসাবে যুব সমাজ ও জনগণকে। মুজিববাদের আদর্শের পরিধির মধ্যে ঐক্যবদ্ধ রাখা। তাই তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন যুবলীগের মত সংগঠন ও বাংলার বাণীর মত সাহসী ও স্পষ্টবাদী পত্রিকা। তিনি বলেন-আমার বাবা শেখ ফজলুল হক মনি বিশ্বাস করতেন মুজিববাদের মূলনীতি ঃ বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ বাস্তবায়ন হলেই কেবল হাজার বছরের বঞ্চনা ও শোষন থেকে মুক্তি পাবে বাঙালি জাতি। তাই অনেক সময় মুজিববাদ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে অনেক অপ্রিয় কথাও তিনি বলেছেন। তিনি বলেন-বাবা বিশ্বাস করতে ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ ও পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র ছাড়া সমাজতন্ত্রের সম্পূর্ণ সুফল মানুষের দূয়াড়ে পৌছাবে না। বাবা বলেছিলেন, “বিপ্লবের পর প্রতি বিপ্লব হয়, আর যুদ্ধের পর আসে দারিদ্রতা”, তাই স্বাধীনতার সুফল, অর্থাৎ রাজনৈতিক অধিকার ও অর্থনৈতিক সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কারণ “ স্বাধীনতা অর্জন করা যেমনি কঠিন, স্বাধীনতা রক্ষা করা তেমনি কঠিন। বাবা আরো মনে করতেন যে রাজনৈতিক ক্ষমতার সাথে সাথে রাজনৈতিক দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। যে দায়িত্ব মানুষের আর্থসামাজিক মুক্তি ও সামাজিক ব্যায় বিচারের লক্ষ্যে নিয়োগ করা উচিত। তিনি কখনোই মনে করেন নাই যে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর একটা নিরাপদ ভূমিতে পরিণত হয়েছিল। কারণ তিনি আচঁ করতে পারেছিলেন যে, আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ বিরোধী মহল ঘরের মধ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যবহার করার সুযোগ খুজবে। তিনি বলেন-দুঃশ্চিন্তাই ১৫ আগস্টে সত্যিতে পরিণত হয়। যার কারণে আমি আর আমার ভাই ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস হারাই আমার বাবা-মাকে, আমাদের প্রাণপ্রিয় জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহেনা হারায় তাঁদের সমগ্র পরিবার আর দুর্ভাগা বাঙালি জাতি হারায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তাঁর পরিবারকে। আর সেই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আমরা দেখলাম যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায়ণ, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উপর ২১ আগস্টের আক্রমণ ও দেশ বিরোধী নানান ষড়যন্ত্র। কিন্তু এ সংগ্রামে শেষ বিজয়টা আমাদেরই হবে। কারণ আমাদেরকে নেতৃত্ব দিচ্ছে একজন সৎ ও সাহসী মানুষ, বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। যার সমস্ত রাজনীতি আজ জনগণের জন্য নিয়োজিত, এ দেশের মানুষের জন্য নিয়োজিত। তিনি বলেন-আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী ও শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির সন্তান হিসাবে গর্বিত অনুভব করিয়ে, আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে আমি বঙ্গবন্ধু কন্যার কর্মী হিসাবে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বলেছেন, সৎ থেকে নুন-ভাত খাওয়া ভাল, অসৎ হয়ে বিরিয়ানী খাওয়া থেকে”। এ কথাটা এখন থেকে সকল যুবলীগ কর্মীদের বুকে ধারণ করতে হবে। আমি জানি সত্য কথা যারা বলে এবং নিজেদের সৎ যারা রাখে, তাদেরকে কেউ কেউ পছন্দ করে না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার একজন কর্মী হিসাবে এবং শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি’র সন্তান হিসাবে, সৎ স্পষ্টবাদী হওয়া আমার রাজনৈতিক দায়িত্ব। তাই আজ যুবলীগের দায়িত্ব হচ্ছে-মানুষের কষ্ট ও নীতিনির্ধারক, অর্থাৎ সরকারের মধ্যে একটা সেতু হিসাবে কাজ করা। যাতে করে আমরা রাজনীতিবিদরা মানুষের জীবনের মান উন্নয়নের জন্য কাজ করতে পারি। তিনি বলেন-আমি বিশ^াস করি যদি একটা প্রজন্ম সৎ ও নির্লোভ ভাবে দেশের জন্য কাজ করে, তাহলে সে দেশের উন্নতি অনিবার্য এবং কোন দেশ বিরোধী শক্তি আমাদের আর ‘দাবাইয়া রাখতে পারবে না’। আমার বাবা একটা সফল শোষনমুক্ত বাংলাদেশ দেখার স্বপ্ন দেখেছেন ও সে জন্য দীর্ঘকাল জেল-জুলুমও খেটেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর কর্মী হিসাবে রাজনীতি করেছেন ও জীবন দিয়েছেন। আমিও সেই আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যার একজন সৎ কর্মী হিসাবে কাজ করে যেতে চাই। অবশেষে আমি আবারো আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। কারণ আপনাদের ত্যাগ এবং ভালবাসার জন্য আমার বাবার গড়া এই সংগঠন এখনো বাংলার মাটিতে একটা শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে বেঁচে আছে এবং আপনারাই হবেন বঙ্গবন্ধু ও শেখ মনি’র আদর্শ ও উত্তরসুরী। তিনি বলেন-আপনারা জানেন, যুবলীগ সৃষ্টি হয়েছিল যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশের যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত করা। এখন যদিও যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ আমাদের নাই, দেশ আমাদের বিধ্বস্থ ভিন্নভাবে, সুতরাং আমাদের যুদ্ধও ভিন্ন, এজেন্ডাও ভিন্œ। এখন যুদ্ধ হচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে। দূর্নীতির বিরুদ্ধে ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে । এ লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এ সময় তিনি নিজের জন্য, বাবার জন্য ও বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া চান।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ গড়ার কারিগর। সমুদ্রতলদেশ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত অর্জন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার। তিনি আরও বলেন-যুবলীগ একটি আদর্শের সংগঠন, একটি আদর্শের ঠিকানা। এই যুবলীগ আলেম-ওলামা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সংস্কৃতিক ব্যক্তি, সাহিত্বিকের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দায়িত্ব আমাদেরকে দিয়েছেন, তা ভালো ভাবে পালন করবো। কোন অন্যায়কে আশ্রয় দেয়া হবে না।

আলোচনা সভার পূর্বে যুবলীগ প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি’র জন্মদিন উপলক্ষে গান ও প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং কোরআন তেলোয়াত এর মাধ্যমে সভার কার্যক্রম শুরু করা হয়।

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর/দক্ষিণ এর সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড/ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

যুবলীগ প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি’র ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে সকাল ১১টায় বনানী কবরস্থানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর নেতৃত্বে যুবলীগ সাবেক কেন্দ্রীয় নেতৃবন্দ শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি সহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের কবরে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাত করেন। এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার নেতৃত্বে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।

আলহাজ¦ মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ