জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত ছাত্রসংসদ নির্বাচন না হওয়ার কারণে র্যাগিং, টর্চারের মতো জঘন্য ঘটনা সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। নিয়মিত ছাত্রসংসদ নির্বাচন না হলে দেশে বিরাজনীতিকরণ ঘটবে, গণতন্ত্র সংকুচিত হবে এবং অপশক্তির উত্থান ঘটবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক চরিত্র হারাবে।’ তিনি বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়মিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।’
বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সিনেট হলে কলেজ এডুকেশন ডেভেলেপমেন্ট প্রজেক্টের (সিইডিপি) ৭ম ব্যাচের শিক্ষক-প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপনী ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হচ্ছে শিক্ষকদের মধ্যে পেশাদারিত্বের অভাব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং, টর্চার সেল সৃষ্টি অভাবনীয় ঘটনা। এর দায়-দায়িত্ব ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং শিক্ষকগণ কিছুতেই এড়াতে পারেন না।আজ সমাজে এবং ছাত্ররাজনীতির নামে যা চলছে তা কিছুতেই রাজনীতি নয়। বরং তা রাজনীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। স্বাধীন বাংলাদেশে ঔপনিবেশিক আমলের রাজনীতি চলতে পারে না। তাই আমাদের সমাজ, রাজনীতি, চাহিদা, উন্নয়ন ভাবনার মতো মৌলিক বিষয়াবলী অগ্রভাগে রেখে রাজনীতি ঠিক রাখা প্রয়োজন।’
সিইডিপির ৭ম ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া ১‘শ ২৬ জন শিক্ষকের হাতে সনদ তুলে দেন উপাচার্য। এরমধ্যে মার্কেটিং বিভাগে ৩৬ জন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ৩৫জন, রসায়নে ১৭ জন ও অর্থনীতিতে ৩৮জনকে সনদ দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে কোর্স উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. সমীর কুমার শীল, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মনিরুল ইসলাম খান, রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আবু বিন হাসান সুসান, অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
¯œাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. নোমান উর রশীদ, ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রারসহ বিভাগীয় প্রধানগণ।