প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সোয়া ১১টার দিকে ৬৪ জেলার ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় ১১ হাজার ৬০৪টি সহনীয় ঘরের উদ্বোধন করেছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৫০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে থাকবে দুটি কক্ষ, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ ৫৮ হাজার টাকা।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মানুষের স্বল্প সময় অবস্থানের জন্য তৈরি করা হয়েছে। সেখানে নারী ও পুরুষের আলাদা থাকার স্থান, শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর স্থান, প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে ভবনগুলোতে। এছাড়া সুপেয় পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থাও রয়েছে। আশ্রয় নেয়া মানুষ গবাদি পশু এনে যাতে রাখতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও রয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে। অন্য সময়ে এ ভবনগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সেভাবেই ভবনগুলো তৈরি করা হয়েছে। এতে ভবনগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের আলাদা করে কোনো চিন্তা-ভাবনার প্রয়োজন হবে না। স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা চত্বরেই মূলত বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হয়েছে বলেও জানান শাহাদৎ হোসেন।

জানা গেছে, সাতক্ষীরায় ১০, বাগেরহাটে ৩, খুলনায় ৯, বরিশালে ১১, ঝালকাঠিতে ২, পিরোজপুরে ৪, বরগুনায় ৭, পটুয়াখালীতে ১১, ভোলায় ১১, নোয়াখালীতে ৮, চট্টগ্রামে ২, কক্সবাজারে ৫, চাঁদপুরে ১৫ ও কুমিল্লায় ২টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে।