গাজীপুরের টঙ্গীতে নেশার জন্য টাকা না দেওয়ায় তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ^াসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ রুবেল মিয়া (৩৫)। সে নরসিংদী জেলার ঘোড়াশাল থানার মো.শাহী মিয়ার ছেলে।
টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই মানিক মাহমুদ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গীর মেঘনা রোড বস্তিতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকে রুবেল। রুবেল কয়েক বছর আগে সাজেদা বেগমকে (২৯) বিয়ে হয়। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। রুবেল নিয়মিত নেশা করতো। সে প্রায়শঃ স্ত্রীর কাছে যৌতুক ও নেশার জন্য টাকা দাবী করতো। টাকা না দিলে সে প্রায়শঃ স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার হুমকি দিত। শনিবার রাতে নেশা করার জন্য রুবেল তার স্ত্রীর কাছে টাকা চায়। টাকা না দেওয়ায় স্ত্রী সাজেদার উপর ক্ষিপ্ত হয় রুবেল। এনিয়ে রাতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। এসময় রুবেল তার স্ত্রীকে মারধর করে। একপর্যায়ে গভীর রাতে ঘুমন্ত সাজেদাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যা করে রুবেল। পরে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচারের চেষ্টা চালায় সে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রবিবার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাজেদাকে হত্যার আলামত সংগ্রহ করেছে। এঘটনায় নিহতের বাবা ফরিদ মিয়া বাদী হয়ে মেয়েকে হত্যার অভিযোগে রুবেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি জানান, নেশার জন্য টাকা না দেওয়ায় সাজেদাকে হত্যা করেছে তার স্বামী রুবেল।