বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের রুমগুলো সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। জানা গেছে, বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান আজ আহসান উল্লাহ হলে বুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি জামি উস সানির ৩২১ নম্বর রুমটি সিলগালা করে দেন। এ ছাড়া শেরেবাংলা হলে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের ৩০১২ নম্বর রুমও সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।
রুম সিলগালা করার ব্যাপারে জামি উস সানি বলেন, ‘আজকে সকালে আমি রুমেই ছিলাম। স্যাররা এসে সিলগালা করে দেন। আর আহসান উল্লাহ হলের ১২১ নম্বর কক্ষে হল ছাত্রলীগের অফিস ছিল। সেটাও সিলগালা করা হয়েছে।’
‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সকল অছাত্রদের হল থেকে উচ্ছেদ চলছে।এ কাজে আমরা সহযোগিতা করব’, যোগ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি। এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে বুয়েটে সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয় বুয়েট কর্তৃপক্ষ। এরপর আজ আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে অবৈধভাবে থাকা শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ এবং ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে নোটিশও জারি করে কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো-আবরার হত্যাকারীদের বুয়েট থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এ মর্মে নোটিশ দেওয়া, সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধের জন্য অবৈধ ছাত্রদের সিট বাতিল করা, সাংগঠনিক অফিস সিলগালা করা এবং ফাহাদের মামলার খরচ দেওয়ার নোটিশ দেওয়া। এ ছাড়া ভিন্নমত দমানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করা এবং এ ধরনের ঘটনা প্রকাশে একটি কমন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সব হলের সিসিটিভির ফুটেজে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা।
উল্লেখ্য, গত রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ১৯ জনকে আসামি করে তার বাবা বরকত উল্লাহ ঢাকার চকবাজার থানায় মামলা করেন। এ পর্যন্ত ফাহাদ হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্ট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।