বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত আরেক শিক্ষার্থী শামীম বিল্লাহকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ। আজ শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ইছাপুর খানপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবরার হত্যাকাণ্ডে এজাহারভুক্ত ১৪ নম্বর আসামি তিনি। গ্রেপ্তার শামীম বুয়েটের নেভাল অ্যান্ড আর্কিটেকচার বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাবার নাম বাবলু সরদার। আবরার হত্যাকাণ্ডের পর তিনি ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় পালিয়ে আসেন।
শ্যামনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ডিএমপির ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শামীমকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ এর বেশি তথ্য দিতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এর আগে ভোর ৪টায় সিলেটের শাহ কিরন এলাকা থেকে আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরেক বুয়েট ছাত্র মো. মাজেদুল ইসলামকে (২১) গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ। তিনি বুয়েটের এমএমই বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র।
বিষয়টি সংবাদমাধ্যকে নিশ্চিত করে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘মাজেদুল ইসলামকে আজ শুক্রবার ভোর গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা-দক্ষিণ বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিম। মাজেদুল আবরার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৮ নম্বর আসামি।’
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আবরার হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ও এজাহার বহির্ভূত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মাজেদুল ও শামীমসহ ইসলামসহ এই মামলায় এ পর্যন্ত ১৮ জন গ্রেপ্তার হলো।
ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের জেরে আবরারকে গত রোববার রাতে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর তাকে শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে কয়েক ঘণ্টা ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওইদিন রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের দোতলায় ওঠার সিঁড়ির করিডোর থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।