আফগানিস্তানে যুদ্ধকালীন ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর, আইমান আল জাওয়াহেরীর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করা হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকারসহ তিনজনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। দশ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম এ রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া অপর দুই আসামি হলেন, বোরহান উদ্দিন রাব্বানী ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজিবি)-এর সদস্য। আতিকুল্লাহ ১৯৯২ সালে মিয়ানমার যায় এবং রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গ্রুপে যোগ দিয়ে যুদ্ধ করে। ১৯৯৭ সালে সে পাকিস্তান থেকে টিমসহ আফগানিস্তানে যায়। সেখানেও সশস্ত্র গ্রুপে যোগ দিয়ে যুদ্ধ করে এবং মোল্লা ওমর ও ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে সাক্ষাত করে। আতিকুল্লাহ দীর্ঘদিন দুবাই পলাতক থেকে পুনরায় বাংলাদেশে এসে তাদের সংগঠনের পুরাতন সদস্য বোরহান উদ্দিন এবং নাজিম উদ্দিনসহ পলাতক আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নতুন সদস্য সংগ্রহ করে সংগঠনের কার্যক্রম চালু করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে কার্যক্রম করে আসছে। তাই তার সহযোগী পলাতক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হুজিবির সদস্যদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ, সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী তথ্য সংগ্রহ ও পরবর্তী রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম পরিকল্পনা এবং ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন।
রিমান্ড শুনানিকালে আসামি নাজিম উদ্দিনের পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মল্লিক সাবদার হোসেন রিমান্ড বাতিল করে জামিন চেয়ে শুনানিতে বলেন, আসামি ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না। গত ৬ সেপ্টেম্বর সাভার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ২৮ দিন পর আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাই রিমান্ড বাতিল করে জামিনের প্রার্থনা করছি। তবে অপর দুই আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় একটি মসজিদের মাঠে অভিযান চালিয়ে জুলফিকার, বোরহান উদ্দিন ও মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ওরফে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের দাবি।