লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাল বিক্রয় কার্যক্রমে জনপ্রতি ২ কেজি করে চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে ডিলারের দাবী খাদ্যগুদাম থেকে চাল ওজনে কম আসায় আমরা আধা কেজি করে কম দিচ্ছি।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার দীঘিরহাট এলাকায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি পরিদর্শনকালে এই অনিয়ম দেখতে পায় ইউএনও সামিউল আমিন।
জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় বছরে ৫ মাস হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ১০ টাকা কেজি মূল্যে চাল সরবরাহ করতে খাদ্যবান্ধন নামে একটি কর্মসূচি চালু করেন। ওই কর্মসূচির আওতায় হাতীবান্ধা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১১ হাজার ৭৬০টি পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল ১০ টাকা কেজি মূল্যে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। এ চাল সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণের জন্য ২৫ জন ডিলার নিয়োগ দিয়ে খাদ্য অধিদফতর। প্রতি ডিলার সপ্তাহে ৩ দিন করে সুবিধাভোগীদের মাঝে ওই চাল বিক্রি করবেন।
হাতীবান্ধা উপজেলায় মঙ্গলবার অনুষ্ঠানিক ভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু উদ্বোধনের দিনেই ওই উপজেলার দীঘিরহাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সুবিধাভোগীদের চাল ওজনে কম দেয়া হচ্ছে। ৩০ কেজি চালের বিপরীতে ৩০০ টাকা ডিলার আব্দুস ছামাদ গ্রহণ করলেও সুবিধাভোগীদের দেয়া হচ্ছে ২৮ কেজি থেকে সাড়ে ২৮ কেজি পর্যন্ত চাল। বিষয়টি জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন ও উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা ফয়সাল আখতার। ইউএনও উপস্থিত হলে চাল ওজনে কম দেয়ার সত্যতা পায়। এ সময় তিনি সুবিধাভোগীর মধ্যে যারা ওজনের কম পেয়েছেন তাদের ডেকে সঠিক ওজনে চাল মাপ দিয়ে দেন।
চাল ক্রয় করতে আসা সুবিধাভোগী মাহমুদা বেগম, রাশেদুল ইসলাম, মিন্টু মিয়া, শুকুর আলী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও দিয়েছে ২৮ কেজি থেকে সাড়ে ২৮ কেজি পর্যন্ত।
চাল সরবরাহের ডিলার আব্দুস ছামাদ জানান, তিনি ওজনে কম দেননি। তবে তার ম্যানেজার হাসিবুর রহমান জানান, খাদ্যগুদাম থেকে চাল ওজনে কম আসায় আমরা আধা কেজি করে চাল কম দিচ্ছি।
হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুবিধাভোগীদের চাল কম দেয়ার সুযোগ নেই। কোনো ডিলার যদি চাল কম দিয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি চাল বিক্রি কেন্দ্রগুলো ঘুরে সুবিধাভোগীদের সাথে কথা বলছি।