স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তাই আগামী নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে।ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে বিষয়টি আগাম জানিয়েছে দলটি।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা কোনো নির্বাচন আর বর্জন করতে চাই না। আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন আমরা বেশ কয়েকটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। ভবিষ্যতেও আমরা সিটি করপোরেশনসহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। কিন্তু সরকার যদি তার অবস্থান থেকে সরে না আসে তখন পরিস্থিতি বুঝে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।এই মূর্হুতে আমরা দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সময় আসলে আপনাদেরকে জানানো হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচনে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। প্রার্থীও চূড়ান্ত। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও তরুণ নেতা তাবিথ আউয়াল।তাকে নিয়ে একাট্টা দলের সবপর্যায়ের নেতাকর্মীরা। ২০১৫ সালে ২৮ এপ্রিল ডিএনসিসি নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাকে দলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন। সেই থেকে তিনিই এখনো পর্যন্ত ডিএনসিসির বিএনপির একক প্রার্থী। ওই নির্বাচনে দুুপুর বারোটার দিকে দলের সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাবিথকে।কিন্তু ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায় তাবিথ বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রায়ত মেয়র আনিসুল হকের বিপরীতে।
ঢাকা উত্তরে প্রার্থী মনোনয়নে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে জটিলতায় পড়তে হবে বিএনপিকে।এই সিটিতে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন কয়েকজন। তারা মেয়র মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এগিয়েছেন সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন খোকা।এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক ডেপুটি মেয়র আবদুস সালাম, দলের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস রয়েছেন। জানা গেছে, তাদের মধ্যে খোকা পুত্র ইশরাক হোসেন দলের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে এখন থেকে কাজ শুরু করেছেন।
অন্যদিকে সাবেক ডেপুটি মেয়র আবদুস সালাম ওয়ান ইলেভেনে বিতর্কিত ভূমিকার কারণে প্রার্থীতা পাবেন না। হাবিব-উন-নবী খান সোহেল দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন। হেভিওয়েট প্রার্থী আফরোজা আব্বাস গেল সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। একারণে সম্ভাবনা থাকা সত্বে তাকে দলের হাইকমান্ড প্রার্থী নাও করতে পারেন। তাদের ঘনিষ্ঠসূত্র জানায়, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাদের পক্ষে কাজ করবেন।এসব নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা এখন সিটি নির্বাচন নিয়ে ভাবছেন না। তাদের সামনে এখন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চান।