পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ মোহনার প্রথম বয়া থেকে আনুমানিক ১৫ কিলোমিটার দুরে গভীর সাগর বক্ষে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ এমভি গলফ আরগো উদ্ধার হয়নি। তবে ওই জাহাজের ১৪ নাবিককে নৌবাহিনীর সদস্যরা জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। এরা হচ্ছেন, কাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল মুহিত, চীফ ইঞ্জিনিয়ার হাসান রেজা খালিদ, চীফ অফিসার কাজী মাহবুব আলম, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার নূর আলম হিমেল, থার্ড মাস্টার মোজাম্মেল হোসেন, বোসনমেন্ট রফিক উল্লাহ, এ্যাবল সীম্যান জুবায়ের হোসেন, অডিনারী সীম্যান সুজন মুখার্জী, সাহাবুদ্দিন, শাহাদৎ হোসেন, জমিরুল ইসলাম, শহিদ মিয়া, মো. রাজু ও আব্দুর রশিদ। নৌবাহিনীর প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বরুণ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ছয় টার দিকে জাহাজটি উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ডুবে যায়। এ জাহাজটি চিটাগং থেকে কোলকাতা যাচ্ছিল। জাহাজটিতে ১৫২ টি কন্টেইনার ছিল। তবে কী পণ্য ছিল তা জানা যায়নি। জাহাজে থাকা নাবিকসহ ১৪ জন লোকের সবাই বয়ার ওপরে আশ্রয় নিয়েছিল। নৌবাহিনীর সাংগু জাহাজ বিপদগ্রস্ত নাবিকদের শুক্রবার উদ্ধার করে চিকিৎসাসহ যাবতীয় সহায়তা দিচ্ছেন। অপরদিকে কলাপাড়া গঙ্গামতি সৈকতে একটি কন্টেইনার টাইপের বক্স শুক্রবার দুপুরে ভেসে এসেছে। এটি দেখতে কৌতুহলী মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। গত চার দিন পায়রা বন্দর ও তৎসংলগ্ন সাগর ভয়াল উত্তাল রয়েছে।