গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে শনিবার আরএফএল’র এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম কামরুল ইসলাম (৩৫)। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। নিহত কামরুল ইসলাম সিলেটে আরএফএল’র আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হিসেবে কমর্রত ছিলেন।
জিএমপি’র টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই সোহরাব হোসেন ও নিহতের ভাগ্নে বিপ্লব স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, অফিসিয়াল কাজে সিলেট থেকে বাসে চড়ে কামরুল ইসলাম গাজীপুরের টঙ্গী কলেজ গেট এলাকায় আসেন। শনিবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে বাস থেকে নামার পর ক’ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে। ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। এসময় ছিনতাইকারীরা তার বুকে ছুরিকাঘাত করে ল্যাপটপ, মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সকালে স্থানীয়রা সেখানে কামরুল ইসলামের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পুলিশ নিহতের সার্টের পকেটে থাকা কাগজপত্র দেখে তার পরিচয় সনাক্ত করে।
জিএমপি’র টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, ঘটনা তদন্ত ও জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
এদিকে এলাকাবাসীরা জানান, প্রায় প্রতিদিনই টঙ্গীর কলেজ গেইট, হোসেন মার্কেটসহ আশেপাশের এলাকায় অহরহ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। ছিনতাইকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইতোমধ্যে একাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইকারীদের অত্যাচারে এলাকাবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।