যুক্তরাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো বরিস জনসন নেতৃত্বাধীন সরকার। গতকাল মঙ্গলবার বরিসের দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ফিলিপ লি পদত্যাগ করে বিরোধী দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক দলের এমপিদের সঙ্গে যোগ দেন। আর এতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় বরিসের সরকার।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ফিলিপ লি কনজারভেটিভদের পক্ষ ত্যাগ করায় সরকারি জোটের এমপি সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৯ জনে। অন্যদিকে বিরোধী জোটে এমপি সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২০ জনে। স্পিকার এবং অন্যরা মিলে আরও ১১ জন এমপি রয়েছেন। সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পাশাপাশি বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রিত্বও টিকবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকেই।

সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে বরিস জনসনের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। এরই মাঝে বিরোধী দল ও জনসনের নিজ দলের এমপিরা ব্রেক্সিট ঠেকাতে একটি বিল আনতে যাচ্ছেন। এ বিলটি পাস হলেই ব্রেক্সিট আটকে যাবে।

যুক্তরাজ্যের সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট আটকানোর বিল পাস হলে আগামী ১৪ অক্টোবর আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব সংসদে তুলবেন বরিস জনসন। গতকাল মঙ্গলবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে প্রধানমন্ত্রী জনসন জানান, তিনি নিজেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যেতে সমঝোতা চান। তবে ব্রেক্সিট আটকাতে বিরোধীরা ও কনজারভেটিভ পার্টির বিদ্রোহীদের পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হয় তবে ইইউর সঙ্গে নতুন করে সমঝোতায় পৌঁছানোর পথ আটকে যাবে।

আর বিদ্রোহীরা সফল হলে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে বিদ্রোহীদের কোনো অনুনয়-বিনয় করবে না বরে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। বরিস জনসন এই প্রক্রিয়াকে বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের ‘আত্মসমপর্ণের বিল’ বলে কঠোর সমালোচনা করেন।