রাজধানীর কাকরাইল থেকে ৩০টি স্বর্ণবারসহ স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। আজ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান নেয়। সকাল আনুমানিক ৭টা ৪৫ মিনিটে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ী প্রান্তের টোল প্লাজার কাছে ফেনী থেকে ঢাকাগামী স্টার লাইন নামে একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৩৩৭৮) থেকে দুজন যাত্রী নামে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে গোয়েন্দা কর্মকর্তাগণ তৎক্ষণাৎ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী বলে জানান।’
তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্ত্রী তাপসী সাহার কাছে ৩০টি স্বর্ণের বার রয়েছে বলে স্বীকার করে। এরপর গোয়েন্দা কর্মকর্তাগণ তাদেরকে কাকরাইলের আইডিইবি ভবনের নিচে নিয়ে যান। সেখানে উপস্থিত আইডিবি ভবনের ক্লিনার রোকেয়া, সুপারভাইজার মিজান, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা সেলিম মিয়া, কোয়ান্টামের অংশগ্রহণকারী মো. খোরশেদ আলমসহ বিভিন্ন ব্যক্তির উপস্থিতিতে তাপসী সাহা তার কোমরের বেল্টে প্যাঁচানো অবস্থায় স্বর্ণবারগুলো বের করে আনেন।’
‘উপস্থিত সকলের সামনে বেল্ট হতে স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় ৩০টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। প্রতিটি স্বর্ণের বারের ওজন ১০ দশ তোলা করে। সর্বমোট ৩০০ তোলা বা প্রায় সাড়ে ৩ কেজি স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা’ বলেও জানান ডিজি। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলমান রয়েছে এবং আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের শীর্ষ এই কর্মকর্তা।