পাবনায় সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযথ ভাবে পালন না করায় অধ্যক্ষসহ অনুপস্থিত সকল শিক্ষকের অপসারণের দাবীতে মানবন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে সাধারন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা সারে ১১টার দিকে বুলবুল কলেজ চত্বর থেকে সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পাবনা শহরের প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধবে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শিবলী সাদিক এর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন বুলবুল কলেজের সাবেক ছাত্র নেতা শেখ শাকিরুল ইসলাম রনি, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সোহেল হোসেন, বুলবুল কলেজের ছাত্র নেতা মিজানুর রহমান সবুজ, ময়না খাতুন, শরিফুল ইসলাম স্বাধীন সহ অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীবৃন্দ ।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বাঙালী জাতির মুক্তিদাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৫ আগষ্ট ছিলো ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী। এই জাতীয় শোক দিবসে সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করেছে। আর এই দিনে পাবনার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজে অধ্যক্ষসহ প্রায় ২৪ জন সাধারন শিক্ষক সেই কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করে নাই। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে জাতীয় শোক দিবসে অনুপস্থিত হয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধই করেন নাই তিনি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে অপমান করেছেন। ৩৭ জন শিক্ষকের মধ্যে সেইদিন মাত্র ১৩ জন শিক্ষক উপস্থিত হয়েছেন। শুধু মাত্র লোক দেখানো পুষ্পার্ঘ অর্পণ আর ফটো সেশন করে চলে গেছেন সকলে। বিষয়টি অধ্যায়ণরত সাধারন শিক্ষার্থী, অত্র কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী, ছাত্রনেতাসহ পাবনার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষদের প্রশ্নের সম্মুখিন করেছেন। স্যোশাল মিডিয়াতে বিষয়টি নিয়ে সারা বাংলাদেশের সাধারন মানুষ ধিক্কার জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানসহ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তাই আমরা সচেতন পাবনাবাসী মনে করি যারা ১৫ আগষ্টকে অবমাননা করে তারা আর্দশিক জায়গায়ে বুকে অন্য কিছু ধারন করে। তাই অনতিবিলম্বে অত্র কলেজের অধ্যক্ষসহ অবমাননাকারী সকল শিক্ষকের অপসারনের দাবীতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাধারন শিক্ষার্থীরা। পরে সাধারন শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকরে কার্যালয়ে একটি স্মরক লিপি প্রদান করেন।