ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে এডিস মশা নির্মূলে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে আগামী মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পর্যন্ত সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে ওষুধ ব্যবহারে মশা নিধন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বক্তব্য শুনে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। এর আগে আদালতের তলবে হাজির হওয়া ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (ডা.) মো. শরীফ আহমেদ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুনের বক্তব্য শোনেন হাইকোর্ট।
তাদের বক্তব্য শুনে আদালত বলেন, এডিস মশা ও ডেঙ্গুর কারণে ঘরে ঘরে মানুষ আজ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। যে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে তা কোনো কাজ করছে না। তাই এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা নতুন কার্যকর ওষুধ চাই। এক সপ্তাহের মধ্যে কোন প্রক্রিয়ায়, কীভাবে ওষুধ আনা যাবে আমাদের জানান। আমরা সরকারকে সেভাবে আদেশ দেব। এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে শুধু সিটি করপোরেশন নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেও এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন আদালত।
এর আগে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের বাহক এডিস মশা নির্মূল ও ধ্বংসে বিদেশ থেকে ১ সপ্তাহের মধ্যে ওষুধ আনার প্রক্রিয়া দুপুর ২টার মধ্যে জানতে চান আদালত। এরপর দুপুরে মামলাটির ওপর পুনরায় শুনানির সময় আদালতে দুই সিটির পক্ষ থেকে মশা নিধনে সময় চাওয়া হয়।
সিটি করপোরেশনের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, ‘আমাদের কিছু দিনের জন্য সময় দিন। এ সময়ের মধ্যে আমাদের কাছে থাকা বর্তমান ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে মশা নিধনের চেষ্টা করবো। এরপর আপনারা পরবর্তী আদেশ দেবেন। মশা নিধনে বিদেশ থেকে ওষুধ আনতে একমাসের মতো সময় প্রয়োজন বলে আদালতকে জানানো হয়।’