রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত তসলিমা বেগম রেনু (৪০) হত্যার ঘটনায় আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম বাচ্চু (২৫)। এর আগে এ ঘটনায় রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় বাপ্পী, শাহীন ও জাফর নামে তিনজনকে। আজ সোমবার সকালে বাচ্চুসহ চারজনকে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চারজনকে ৭ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। তবে গণপিটুনির ঘটনার নেতৃত্বদানকারী হৃদয় নামে এক যুবককে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।’
তিনি জানান, হৃদয় উত্তর বাড্ডায় তার বাবা হানিফের সঙ্গে সবজির দোকানে কাজ করে। পড়াশুনাও করেনি হৃদয়। এলাকায় সে আগে থেকেই বখাটে যুবক হিসেবে পরিচিত। রাজধানীর বাড্ডার একটি স্কুলে সন্তানকে ভর্তির খোঁজখবর নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন রেনু। গত শনিবার সকালের ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা গেছে, রেনুকে কয়েকজন যুবক মারছে। বাকিরা দেখছে, কেউ কেউ কাছ থেকে মোবাইলে ভিডিও করছে। ৮-১০ মিনিট লাঠিপেটার পর আবার উপর্যুপরি লাথি মারা হয়। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গণপিটুনিতে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শনিবার সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন রেনুর বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন।