বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের উদ্দেশে যান পাঠালো ভারত। স্থানীয় সময় ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে চন্দ্রযান ২ এর উৎক্ষেপণ করে দেশটি। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টারের লঞ্চ প্যাড থেকে উড়ে যায় চন্দ্রযান-২। এর আগে গত ১৫ জুলাই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একেবারে শেষ মুহূর্তে উৎক্ষেপণ স্থগিত করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। তবে আজ সোমবার সফল উৎক্ষেপণকে সামনে রেখে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে কাউন্ট ডাউন শুরু করে ইসরো।
ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী জিও সিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলস মার্ক ৩ (GSLV Mk III) রকেট বা বাহুবলীতে চেপে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে চন্দ্রযান ২। ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখবে প্রজ্ঞান ও বিক্রম। রকেটটি যদি খাড়াভাবে ওড়ে তাহলে তিন থেকে চারদিনের মতো সময় লাগে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকতে। এদিকে টানা ১৪ দিন চাঁদের মাটির নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের তথ্য হাতে পাবে ইসরো। কাজ শেষ করতে হবে ১৪ দিনেই, কারণ পৃথিবীর সাড়ে ১৪ দিন চাঁদের একদিনের সমান। আর ওই সময়টুকুই সোলার সেল সক্রিয় থাকবে স্বয়ংক্রিয় দুই যানের।
ইসরো জানিয়েছে, পৃথিবীর কক্ষপথে প্রথম ১৭ দিন থাকবে বাহুবলী। পরে আরও শক্তি বাড়িয়ে তারপর চাঁদের কক্ষপথে ঢুকবে রকেটটি। সব মিলিয়ে চাঁদের মাটি ছুঁতে চন্দ্রযান ২ এর ৫৪ দিন লাগবে। তবে ৬ সেপ্টেম্বরের বদলে ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের বুকে বিক্রমকে নামাবে চন্দ্রযান। এছাড়া অভিযান সাতদিন পেছালেও বিক্রম ও প্রজ্ঞানের চাঁদের বুকে নামা পেছাচ্ছে মাত্র একদিন। পরে এই যান দুটি টানা ১৪ দিন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সন্ধান করবে চাঁদের মাটির রহস্য। উল্লেখ্য, এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন চাঁদে মহাকাশ যান পাঠিয়েছে।