সফট ওয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের (বাউবি) গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগে বিশ^বিদ্যালয়ের এক প্রকৌশলীকে রবিবার বিকেলে আটক করা হয়েছে। তার নাম- এমদাদুল হক ইমন। কুমিল্লা জেলার কতোয়ালী থানার অনুপম এলাকার জহিরুল হকের ছেলে। ইমন বাউবি’র কম্পিউটার ডিভিশনের হার্ডওয়ার ইঞ্জিনিয়ার।
বাউবি’র রেজিস্ট্রার ড. মহা. শফিকুল আলম জানান, সফটওয়ার ব্যবহার করে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কম্পিউটার হতে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন গোপন তথ্য সমূহ অন্যত্র স্থানান্তরের মাধ্যমে পাচার করে আসছিল ইমন। বিষয়টি বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে এলে রবিবার বিকেলে তার বিরুদ্ধে বাউবি’র নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিক্সন মিয়া বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ ইমনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বাউবি’র উপাচার্য প্রফেসর ড এমএ মাননান জানান, বাউবি’র বিভিন্ন বিভাগে দু’শতাধিক কম্পিউটার রয়েছে। এসব কম্পিউটারে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রসহ বিশ^বিদ্যালয়ের নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। বাউবি’র কম্পিউটার ডিভিশনের হার্ডওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ইমন আমার কক্ষের কম্পিউটারসহ এসব কম্পিউটারগুলোতে অননুমোদিত ভাবে গোপনে একটি সফটওয়ার ইনস্টল করে। পরবর্তীতে ওইসব কম্পিউটার হতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য সম্বলিত ডাটা ওই সফটওয়ারের মাধ্যমে অন্যত্র স্থানান্তরের মাধ্যমে পাচার করা হয়। এমনকি ওই সফটওয়ারের মাধ্যমে ঘরে বসে সে বিশ^বিদ্যালয়ের কম্পিউটার মনিটরিং করতো ইমন। প্রায় দু’বছর ধরে সে এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। গত কয়েকদিনে আমার কক্ষের দু’টি কম্পিউটার হতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডাটা স্থানান্তর করায় ওই কম্পিউটারে সেগুলো পাওয়া যায় নি। বিষয়টির তথ্যানুসন্ধান করতে গিয়ে ইমন হাতেনাতে ধরা পড়ে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে জিএমপি’র গাছা থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মালেক খসরু খান জানান, সফটওয়ার ব্যবহারের মাধ্যমে বাউবি’র বিভিন্ন কম্পিউটার হতে গুরুত্বপূর্ণ নানা গোপন তথ্য সমূহ অন্যত্র পাচারের অভিযোগে বাউবি’র কম্পিউটার ডিভিশনের হার্ডওয়ার ইঞ্জিনিয়ার এমদাদুল হক ইমনের বিরুদ্ধে একটি থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়। বাউবি’র নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিক্সন মিয়া এ অভিযোগের বাদী। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইমনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।