আজ ২০/০৭/২০১৯ইং তারিখ রোজ শনিবার সকাল ১১.০০টায় রংপুর জেলা স্কুল মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ রংপুর মহানগর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন উদ্ভোধন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ ওমর ফারুক চৌধুরী, প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবীর নানক, প্রধান বক্তা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো: হারুনুর রশীদ, বিশেষ অতিথি রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও মাননীয় সংসদ সদস্য গন। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বেহায়া, যুবলীগ স্বৈরাচার খালেদার পতনের জন্য আন্দোলন করেছে। এই বেহায়া খালেদা দেশের জ্বালাও পোড়াও থেকে শুরু করে লুটপাটের মহোৎসব তৈরি করেছিল। আজকে জনগনের অভিশাপে তার এই করুণ পরিনতি। বাংলাদেশের জনগন বিএনপি এবং জিয়া পরিবারকে ঘৃনা করে। তিনি আরো বলেন ফখরুল বলে বেড়াচ্ছেন বর্নাতদের জন্য সরকারের কোন নজর নেই। এটা দাহা মিথ্যা কথা। ফখরুল আসলে বেহায়া। তা না হলে এ ধরনের কথা বলতে পারেন না। আপনি খোঁজনিয়ে দেখুন পর্যাপ্ত ত্রান সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর তত্বাবধায়নে বর্নাতদের জণ্য ৬টি টিম মাঠে কাজ করছে। পদ্মাসেতু নিয়ে মাথা কাটার যে গুজর ছড়ানো হয়েছে তা বিএনপি-জামায়াতিদের ষড়যন্ত্রের অংশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্র্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার মিথ্যা নালিশের সাথে সাবেক বিচারপতি সুশান্ত সিনহার যোগসূত্র রয়েছে দাবি করে নানক বলেন, প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী তৎপতার অভিযোগে দৃস্টান্তমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাঁকে ইন্ধনদাতারাও আইনের মধ্যে আসবে।
উদ্ভোবনী বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন- আমাদের রাজনীতিতে কোন প্রতিপক্ষ নেই। আমদের প্রতিপক্ষ তারাই যারা উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে চায়। যারা যুবসমাজের সৃষ্টির উল্লাসকে থামিয়ে দিতে চায়। যারা যুব সমাজকে বিপদগামী করতে চায়। যারা যুবসমাজকে মাদকাশক্তি ও সন্ত্রাসের দিকে ঠেলে দিতে চায়, তারাই আমাদের প্রতিপক্ষ। আমরা দলবাজি কোন্দল ইত্যাদির মধ্যে থেকে রাজনীনিতিকে সংকীর্ণতার গন্ডিতে আবদ্ধ করতে চাই না। আমরা চাই যে, রাজনীতি হোক কল্যাণকামীতা, রাজনীতি হোক মঙ্গলচারীতা, যে রাজনীতি মানুষকে নতুন স্বপ্ন দেখাবে এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য উৎসাহিত করবে। আর এই রাজনীতির সুচনা করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জাতির পিতার স্বপ্নগুলোকে শুধু হৃদয়ে ধারনই করেননি, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নটা আজ বাংলাদেশে দৃশ্যমান।
সামাজিক ন্যায় বিচার, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরাপক্ষতা অর্থাৎ সকল ধর্মের মানুষের স্ব-স্ব ধর্ম পালনের অধিকার তথা জাতীয় চার মুলনীতিকে সামনে রেখে বেকারত্ব দূরীকরণ, দারীদ্র বিমোচন, শিক্ষা সম্প্রসারণ, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠানিক রূপদান, অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও আতœনির্ভরশীল অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং যুব সমাজের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। বাংলাদেশ আজ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহা সড়কে এগিয়ে চলছে। আন্দোলন মানে শুধু মাত্র মিছিল মিটিং করা নয়, আন্দোলন মানে কর্ম সূচি প্রণায়ন করা। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সার্বিক প্রচেষ্টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্ব শান্তির মডেল ‘জনগনের ক্ষমতায়ন’ আজ সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
রংপুর মহানগর যুবলীগ আহবায়ক এবিএম সিরাজুম মনির বাসার এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইসমাইল হোসেন রাজু, হারুনুর রশীদ হারুন, হারাধন রায় হারা, আশরাফুল আলম, সাইফুল ইসলাম, মুরাদ হোসেন এর পরিচালায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কোষাধ্যক্ষ জনাব এইচ.এন. আশিকুর রহমান (এম.পি.), সংগঠনিক সম্পাদক বি.এম মোজাম্মেল হক, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক এড. রেজাউল করিম রাজু, জনাব এ কে এম আহসানুল হক চৌধুরী (ডিউক) এম.পি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়ারাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মোঃ আতাউর রহমান, এড. মোতাহার হোসেন সাজু, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব এমরান হোসেন খাঁন, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, শিক্ষা প্রশিক্ষন সম্পাদক মিজুনুল ইসলাম মিজু প্রমূখ।