সরকারের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে মৃত্যু এখন দেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, এমনকি দেখতে পাচ্ছি আদালতের খাস কামরায়ও কোনো নিরাপত্তা নেই।
জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এ মন্তব্য করেন সেলিমা রহমান। সরকারের ব্যর্থতার কারণে বর্তমানে দেশে কোনো নিরাপত্তা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
সেলিমা রহমান বলেন, দেশে বিভিন্ন কারণে মৃত্যু মহামারি আকার ধারণ করেছে। এমনকি দেখতে পাচ্ছি, আদালতের খাস কামরায়ও কোনো নিরাপত্তা নেই। অর্থাৎ বর্তমান সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। পুলিশকে ঠেলে দিয়েছেন লোভ-লালসা, দুর্নীতির দিকে। তারা জনগণের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে না।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, দেশের কোথাও কোনো নিরাপত্তা নেই। ঘর থেকে বের হলেই খুন হওয়ার আশঙ্কা, ধর্ষণের শিকার হওয়ার আশঙ্কা। যে দেশে আদালতের খাস কামরায় খুন হয়, সেই দেশে কীভাবে নিরাপত্তা থাকতে পারে। এ সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ।
তিনি বলেন, এ ব্যর্থতার কারণ, পুলিশ বাহিনীকে লোভ লালসার দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার, যে কারণে তারা জনগণকে রক্ষার জন্য কাজ করে না। তাই আমাদের লাঠিয়াল হয়ে, ঢাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে। সেলিমা রহমান বলেন, আমরা দলকে সংগঠিত করছি আন্দোলনের জন্য। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বেগম খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করা হবে। কারণ তাকে জামিনে মুক্ত হতে দেবে না সরকার।
তিনি আরও বলেন, যখনই আমরা আন্দোলনের কথা বলি, তখন এই অবৈধ সরকারের টনক নড়ে। যে কারণে এ সরকারের মন্ত্রীরা আবোলতাবোল কথা বলতে থাকেন।খালেদা জিয়ার মুক্তি সাংবিধানিক অধিকার মন্তব্য করে বিএনপির এই নেত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তাকে মুক্ত করার জন্য প্রয়োজন হলে গণবিস্ফোরণ ঘটানো হবে।
তিনি আরও বলেন, এ সরকারের তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি নাকি ডিজিটাল বোঝে না। বিএনপি ওই ডিজিটাল বুঝে না, যে ডিজিটালে শেয়ারবাজার, ব্যাংক লুটপাট হয়, যে ডিজিটাল শিশু থেকে বয়স্ক নারী ধর্ষণের শিকার হয়, খুনের শিকার হয়, যে ডিজিটালে গণতন্ত্র থাকে না, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার থাকে না।আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমাযুন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, কৃষক দলের সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।