দুগ্ধ ভিলেজ নামে খ্যাত বিশাপাড়া। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ২ নং বোয়ালদাড় ইউনিয়নে অবস্থিত গ্রামটি। এই গ্রামে গড়ে উঠেছে দেশী ও বিদেশী প্রাজাতির গাভী নিয়ে ছোট-বড় ৬৫টি খামার। খামারগুলিতে রয়েছে ৬ থেকে ১৫ দগ্ধ উৎপাদনকারী গাভী। প্রতিটি গাভীর বাজার মূল্য ৪০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত। খামারের মালিকরা হয়েছেন স্ববলম্বী। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দক্ষিনে বিশাপাড়া নামক দুগ্ধ ভিলেজ গ্রামটি অবস্থিত।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্ত সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামে ছোট-বড় মিলে ৬৫ জন খামারী রয়েছে। মোট গাভীর সংখ্যা ২৪৫টি। এদের মধ্য ৭৫টি বকনা এবং শংকর জাতের ৬৫ টি, দেশী জাতের ১০৫টি গাভী রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৮০ টি গাভী থেকে মোট ৪০০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। উপজেলা প্রাণীনম্পদ কার্যালয় ২০১৭ সালে ১লা জানুয়ারী গ্রামটিতে দুগ্ধ ভিলেজ ঘোষণা করে।
সরেজমিনে দিয়ে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মো. মাসুদুর রহমান প্রায় ৪ বছর আগে বসতবাড়িতে ১টি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী কিনেন। এখন তার ৬টি গাভী রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ টাকা।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দুধ বেচার জায়গা নেই। এখন খামার ছেড়ে দিতে মন চায়। দুধের বাজার একেবারেই কম। দুধ নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে গেলে ৩০-৩২ টাকায় প্রতি লিটার দুধ বিক্রি করতে হয়। তাই খামরে প্রতিদিন ৫০ লিটার উৎপাদিত দুধ একই গ্রামের ঘোষ শ্রী উজ্জ্বল চন্দ্রের কাছে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করেন।
ঘোষ উজ্জ্বল চন্দ্র রায় জানান, তিনি দই, মিষ্টি তৈরী করে বাংলা হিলি বাজারে সরবরাহ করে থাকেন এতে প্রতিদিন ১০০ লিটার দুধের প্রয়োজন হয়। গ্রামেই খামার থাকায় আমাকে দুধ কিনতে কোথাও যেতে হয় না। গ্রামের খামারীদের কাছ থেকেই দুধ কিনে থাকি।উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস সামাদ জানান, অধুনিক পদ্ধতিতে যাতে খামারীরা গাভী লালন-পালন ও পরিচর্যা করতে পারে সে লক্ষে ওই খামারীদের নিয়ে নিয়মিত উঠার বৈঠক করা হয়। এছাড়াও যখন কোন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে মেডিকেল টিম গঠন করে চিকিৎসা ও সেবা দেয়া হয়।