উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা ৬ দিনের বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যানন্দ ইউপির চরাঞ্চল গুলোতে বসবাসকারী ১০০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ার খবর নিশ্চিত করেছেন বিদ্যানন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মো.তাইজুল ইসলাম। গতকাল তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ৭ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
বিদ্যানন্দ ইউপির আনন্দ বাজার,শিয়াল খাওয়ার চর,চতুরা,রামহরি চরাঞ্চলের পরিবার গুলো পানিবন্দী হয়ে পড়ায় তাদের বিশুদ্ধ পানি ও গবাদি পশুর গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহ.রাশেদুল হক প্রধান বলেন, পানিবন্দী পরিবার গুলোর জন্য সরকারি ভাবে শুকনো খাবার ও খাদ্য শস্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ১৪ জুলাই রবিবার তা বিতরণ করা হবে। যেকোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আরিফুল ইসলাম বলেন,পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নদী ভাঙ্গন শুাং হবে। তা রোধে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। অপরদিকে ধরলা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ছিনাই ইউপির জয়কুমর, ছাট কালুয়া,নামা -জয়কুমর ও কিং ছিনাই চরাঞ্চল গুলোর প্রায় ৮ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ার খবর নিশ্চিত করেছেন ছিনাই ইউপি চেয়ারম্যান নুাংজ্জামান হক বুলু।সবমিলিয়ে পানিবন্দী পরিবারগুলোর মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও গো খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।বর্তমান নদী তীরবর্তী বসবাসকারী পরিবার গুলোর মানুষজনের নির্ঘুম রাত কাটছে।