ভারী বর্ষণে ফের তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরীর নিচু এলাকা। শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর পানি জমে যায়। পানি ঢুকে পড়ে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
নগরীর বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা রতন বড়ুয়া জানান, শনিবার বৃষ্টিতে তার বাসায় পানি ঢুকে যায়। হাঁটু সমান পানিতে বাড়ি তলিয়ে যায়। একই কথা জানান হালিশহর কে ব্লকের বাসিন্দা আমির হোসেন। তিনি বলেন, বৃষ্টিতে তার দোকানে হাঁটু পানি জমে। ওই এলাকার অধিকাংশ বাসাবাড়িতে পানি জমেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, অক্সিজেন মোড়, চকবাজার, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, প্রবর্তক মোড়, দেওয়ান হাট, চৌমুহনী, আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়, কমার্স কলেজ মোড়, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহর আবাসিক, বাকলিয়া, চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সকালে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে চরম বিপাকে পড়েছেন স্কুল, কলেজ ও অফিসগামী নগরবাসী।
সকালে লালখান বাজার থেকে আগ্রাবাদ কমার্স কলেজে যান শিক্ষার্থী ফাহমিদা হক সামিরা। তিনি বলেন, সকাল ১০টায় পরীক্ষা ছিল। তাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলেজে যাই। তখন বাদামতলী থেকে কলেজ পর্যন্ত হাঁটু পানি ছিল। এরপর দুপুর ১২টায় পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে দেখি কলেজের সামনে পানি আরও বেড়ে গেছে। পরে বাধ্য হয়ে পানিতে ভিজে বাসায় ফিরেছি।
অক্সিজেন মোড় এলাকার দোকানদার আব্দুর রহিম বলেন, শনিবার বৃষ্টিতে অক্সিজেন মোড়ের অধিকাংশ দোকানে পানি জমে যায়। গত কয়েকদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হলেই এই মোড়ে হাঁটু পানি জমে।এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বলেন, বেলা ৩টার আগ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১২২ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বার্তায় তিনি বলেন, আজ সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। মাঝারি থেকে ভারী অথবা অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।