আওয়ামী লীগের যেসব নেতা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। অপরদিকে এসব বিদ্রোহী প্রার্থীদের যে সব সংসদ সদস্য প্রণোদনা যুগিয়েছেন কিংবা সমর্থন করেছেন, তাদেরও শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আগামীকাল শনিবার থেকে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব পেলে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড তা যাচাই-বাছাই করে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়। দুটি সভায়ই সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকের আগে দলের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। দুটি বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠক সূত্রে আরও জানা যায়, গত মাসে পাঁচ দফার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। আবার এবছরই শুরু হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ বাড়তে থাকায় কঠোর অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়ও অধিকাংশ নেতা ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে মত দেন। কারণ দর্শানোর জবাব আসার পর অভিযোগ ও জবাব যাচাই-বাছাই করবেন দলের ৮ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকেরা। তারপর তাদের মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে সভাপতি দলীয় ফোরামে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, এর আগেও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অনেক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি দল। তবে এবার আর কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।