কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, নিহত সাইফুল ইসলাম ওরফে হাজি সাইফুল করিম (৪৫) টেকনাফ উপজেলার শিলবুনিয়াপাড়ার বাসিন্দা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সব গোয়েন্দা সংস্থার তালিকার প্রধান ইয়াবা গডফাদার এবং দেশের এক নম্বর মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় বেশ কিছু মাদক মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানা এলাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে সাইফুল করিম নিহত হন বলে দাবি করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।
আজ শুক্রবার সকালে ওসি আরো বলেন, পলাতক সাইফুলকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বেশ কিছু তথ্য পায়। পুলিশ জানতে পারে, কয়েক দিন আগে ইয়াবার একটি বড় চালান ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে মিয়ানমার থেকে এনে টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানাপ্রাচীরের শেষপ্রান্তে নাফ নদের পাড়ে মজুদ করা হয়েছে।
এ তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবা উদ্ধারের জন্য গতকাল রাতে পুলিশ ওই স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সাইফুলের সহযোগী অস্ত্রধারী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে উপপরিদর্শক (এসআই) রাসেল আহমেদ, কনস্টেবল ইমাম হোসেন, সোলেমান আহত হন।
ওসি আরো দাবি করেন, তখন আত্মরক্ষার্থে পুলিশও ৫২টি গুলি করে। একপর্যায়ে আটক সাইফুল গুলিবিদ্ধ হন। গোলাগুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে পুলিশ গুলি করা বন্ধ করে। একপর্যায়ে অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি করতে করতে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায় তল্লাশি করে আসামিদের ফেলে যাওয়া নয়টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ৪২টি শটগানের তাজা কার্তুজ, ৩৩টি কার্তুজের খোসা ও এক লাখ ইয়াবা পাওয়া যায়।
গুলিবিদ্ধ সাইফুল করিম ও আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ভোররাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সাইফুল করিমকে মৃত ঘোষণা করেন বলে দাবি করেন ওসি। তিনি আরো জানান, সাইফুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আজকের ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওসি।